টাকা একগুণ থেকে দ্বিগুণ করার স্বপ্ন কে না দেখেন। বড়লোক হওয়া, টাকার গদিতে ওঠা-বসা করা নিয়ে আকাশ-কুসুম অনেকেই ভাবেন। তবে তা অবশ্যই সৎ পথে। কালো টাকা রেখে আয়কর দফতরের অভিযানের ভয় অনেকেই পান। তবে সৎ পথে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন যদি কেউ দেখে থাকেন এবং হাতে যথেচ্ছ পরিমাণ অর্থ থেকে থাকে তাহলে পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসে বিনিয়োগ একটি ভালো অপশন হতে পারে। এইখানে বিনিয়োগ করে আকর্ষণীয় আয় করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। সেই কারণে SEBI PMS-এ ন্যূনতম বিনিয়োগ ২৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লক্ষ টাকা করেছে।
সাধারণত মধ্যবিত্ত ব্যক্তিরা এই পিএমএস এ বিনিয়োগের ঝুঁকি নেন না। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে সাধারণত উচ্চ সম্পদের ব্যক্তিরা। মিউচুয়াল ফান্ডের মতো সহজ নয় PMS-এ বিনিয়োগ করা। বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন ফর্মে স্বাক্ষর করতে হয়। তবে এই প্রক্রিয়াকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করার চেষ্টা চলছে। PMS স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
PMS-এ কীভাবে বিনিয়োগ করবেন?
PMS প্রদানকারীদের সরাসরি প্ল্যান অফার বাধ্যতামূলক করেছে SEBI। PMS এর ট্র্যাক রেকর্ড বোঝা সহজ। PMS-এ রিটার্নও প্রত্যেকে বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়। কারণ এখানে প্রত্য়েক বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও আলাদাভাবে পরিচালিত হয়। বর্তমানে ভারতে মোট ৩৭৮ টি PMS প্রদানকারী রয়েছে।
পিএমএস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্টও খুলতে হবে :
পিএমএস অ্য়াকাউন্টের সঙ্গে একটি ডিম্য়াট অ্য়াকাউন্টও খুলতে হবে। একটি পিএমএস অ্য়াকাউন্ট খুলতে দুই ধরনের চুক্তির প্রয়োজন হয়। প্রথম চুক্তিটি পিএমএস-র প্রদানকারীর মধ্যে হয়। আরেকটি হয় পাওয়ার অব অ্যাটর্নি চুক্তি (POA)।
পিএমএস পরিষেবা প্রদানকারী প্রধান কোম্পানিগুলি :
এই ক্ষেত্রে প্রধান ছয়টি কোম্পানি রয়েছে। তারা গ্রাহকদের পরিষেবা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, কোটাক ব্য়াঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এডেলইস (EdelwEiss) ও অরবিস (Orbis)। একটি পিএমএস অ্যাকাউন্ট খুলতে ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগে। কিছু পিএমএস প্রদানকারী এর জন্য ৩০ দিন সময়ও নিয়ে থাকে।