সামনেই ডেডলাইন। হাতে নেই বেশি সময়। ৩১ জুলাই আয়কর জমা দেওয়ার শেষ দিন ঠিক করে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এখনও একাধিক করদাতা আয়কর রিটার্ন (ITR) দাখিল করা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন। ITR-র বিভিন্ন ফর্মের মারপ্যাঁচে তাঁরা নাস্তানাবুদ। তাঁরা এখনও বুঝে উঠতেই পারছেন না ITR ফাইল করতে হবে কিনা। সদ্য রোজগারের পথে হাঁটা চাকরিজীবী বা ব্য়বসায়ীদের এই নিয়ে ধন্দ বেশি। বার্ষিক আয় থেকে কর দিতে না হলেও তাঁদের ITR জমা দিতে হবে কিনা সেই প্রশ্নই ঘুরছে মাথায়।
বর্তমানে আয়কর নিয়ম অনুযায়ী, যাঁদের মোট বার্ষিক আয় ট্যাক্সের আওতার মধ্যে পড়ে তাঁদের ITR জমা দিতেই হবে। বর্তমানে ITR দাখিল করার নিম্নসীমা হল ২.৫ লক্ষ টাকা। যাঁদের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা তাঁদের ITR দাখিল করা জরুরি। যদিও বিশেষ ক্ষেত্রে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা অবধি আয়ে কর ছাড় দেওয়া হয়। এই অবস্থায় অনেকেরই মনে হয় বেতন থেকে কর কাটা না হলে ITR দাখিল করার কোনও প্রয়োজন নেই।
তবে চাকরি বা ব্যবসা ক্ষেত্রে নবাগতা তরুণ-তরুণীদের এই ভাবনা ভুল। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার্ষিক আয় আয়করের আওতায় না পড়লেও ITR ফাইল করাই বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে কিছু সুবিধা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। যাঁরা এই ধন্দে রয়েছেন ITR ফাইল করবেন কি করবেন না তাঁদের বেশিরভাগই সদ্য কেরিয়ার শুরু করেছেন। তাঁরা ভবিষ্যতে ঋণ নিয়ে গাড়ি বা বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করে থাকতেই পারেন। বা ভবিষ্যতে এডুকেশন লোন নেওয়ারও দরকার পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁদের ITR ফাইল করা উচিত। তাঁতে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে সেই ব্যক্তির। যেসব নাগরিক ITR ফাইল করেন আয়কর দফতরের তরফে তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, করের আওতায় না পড়লেও আয়কর দাখিল করলে কোনও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না আবেদনকারী।