TCS Call centre: এবার কী হবে কল সেন্টারের কর্মীদের! উদ্বেগের কথা শোনালেন TCS-এর সিইও

TCS Call centre: 'ম্যাকেঞ্জি গ্লোবাল ইনস্টিটিউট' নামের একটি সংস্থা 'জেনারেটিভ এআই অ্যান্ড দ্য ফিউচার অব ওয়ার্ক ইন আমেরিকা' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রাহক পরিষেবা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁয় কর্মরত ব্যক্তিদের চাকরি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

TCS Call centre: এবার কী হবে কল সেন্টারের কর্মীদের! উদ্বেগের কথা শোনালেন TCS-এর সিইও
প্রতীকী ছবিImage Credit source: twitter

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 29, 2024 | 11:34 PM

নয়া দিল্লি: বর্তমানে টিসিএস (Tata Consultancy Services) সহ একাধিক সংস্থার কল সেন্টারে কাজ করেন বহু মানুষ। কিন্তু সেই চাকরি কি আর থাকবে? এমন আশঙ্কার কথাই শোনালেন খোদ টিসিএস-এর সিইও। হাজার হাজার কর্মী ভবিষ্যৎ কি প্রশ্নের মুখে? সেই প্রশ্নই সামনে আসছে। প্রযুক্তির উন্নতির জেরে মানুষের কাজ কি ফুরিয়ে আসছে?

ফিনান্সিয়াল টাইমস-কে দেওয়া এক টিসিএস-এর সিইও কে কীর্তিবাসন বলেন, ‘জেনারেটিভ এআই-এর নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি নতুন প্রযুক্তি এশিয়া ও সারা বিশ্বে গ্রাহক পরিষেবার কাজটাকেই বদলে দেবে। তবে তিনি সেই সঙ্গে এও জানিয়েছেন, টাটা কনসালন্টেসি এখনই কারও চাকরি বাদ দিচ্ছে না, তবে তারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে যে এআই গ্রাহক পরিষেবার সম্পূর্ণ কাঠামো পরিবর্তন করবে। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আর ফোন করে অভিযোগ করার প্রয়োজন হবে না। পরিবর্তে, এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের সমস্যাগুলি বুঝে নিয়ে সমাধান খুঁজতে পারবে।’

সাক্ষাৎরে তিনি আরও বলেন, ‘প্রযুক্তিকে এতটা এগিয়ে নিতে হবে যাতে গ্রাহকের সমস্যা আগে থেকেই বুঝতে পারা যায় এবং প্রযুক্তির সাহায্যেই সমাধান খুঁজে বের করা যায়। চ্যাটবট প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এই সিস্টেমগুলি গ্রাহকের পুরনো সমস্যা বুঝতে সক্ষম হবে এবং কল সেন্টারের কর্মীরা বর্তমানে যে কাজ করে, তা করতে সক্ষম হবে। তবে তার জন্য বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ভারতের মতো দেশে প্রযুক্তিবিদদের চাহিদা দ্রুত বাড়বে বলেও তিনি মনে করেন। টিসিএস-এর শীর্ষকর্তার আরও দাবি, এই প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে, পুরনোদের কাজ কমবে না। উল্লেখ্য, ‘ম্যাকেঞ্জি গ্লোবাল ইনস্টিটিউট’ নামের একটি সংস্থা ‘জেনারেটিভ এআই অ্যান্ড দ্য ফিউচার অব ওয়ার্ক ইন আমেরিকা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রাহক পরিষেবা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁয় কর্মরত ব্যক্তিদের চাকরি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।