ব্য়াঙ্ক বা যে কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সিবিল স্কোর। কোনও ব্যক্তির সিবিল স্কোর ভাল থাকলে খুব সহজেই ঋণের আবেদনে অনুমোদন পাওয়া যায়। আর সিবিল স্কোর কম থাকলে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। তাই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার থাকলে সিবিল স্কোর ভাল রাখাই উচিত সবার।
সিবিল স্কোর (CIBIL Score) কী?
সিবিল স্কোর একটি তিন সংখ্যার নম্বর। যার মাধ্যমে কোনও ঋণগ্রহীতার ধার নেওয়ার ইতিহাস সারাংশ জানা যায়। আক্ষরিক অর্থে যার সিবিল স্কোর যত বেশি তাঁর লোন পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। কোনও ব্যক্তির সিবিল স্কোর ৩০০ থেকে ৯০০ মধ্যে হতে পারে। অতীতের ধার শোধের উপরও এই সিবিল স্কোর নির্ভর করে থাকে।
এখানে আপনার সিবিল স্কোর তৈরির কিছু টিপস দেওয়া হল:
দেরি করে পেমেন্ট করবেন না:
সময় মতো ধার শোধ করার চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময়ে EMI ইনস্টলমেন্ট পেমেন্ট না করলে আপনার সিবিল স্কোরে প্রভাব পড়তে পারে।
ঋণের পুনরায় আবেদন করা এড়িয়ে যান:
আপনার করা কোনও ঋণের আবেদন বা তা খারিজ হয়ে যাওয়ার তথ্য আপনার ক্রেডিট রিপোর্টে থাকবে। তাই এক ব্যাঙ্কে ঋণের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে অন্য ব্যাঙ্কে আবেদন করবেন না। পূর্ববর্তী ঋণের আবেদন খারিজ হওয়ার রিপোর্ট দেখলে পরের ব্যাঙ্কও পুনরায় লোনের আবেদন খারিজ করে দিতে পারে।
আপনার ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন অনুপাত বজায় রাখুন:
একজন ঋণগ্রহীতাকে বিভিন্ন ক্রেডিট পণ্যের উপর ব্যয়ের ব্যয় বিতরণ করে তাদের ক্রেডিট ব্যবহারের হার তাদের সামগ্রিক ক্রেডিট সীমার ৩০ শতাংশের নিচে রাখা উচিত। আপনার ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাত কমার ফলে আপনার ক্রেডিট স্কোর বৃদ্ধি পাবে।
আপনার উপলব্ধ ক্রেডিট সীমা শেষ করবেন না:
আপনার জন্য বরাদ্দ ক্রেডিট সীমা অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি আপনার ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাত বাড়িয়ে তোলে। আপনার সিবিল স্কোর কমে যায় এর ফলে। যদি ব্যয় নিয়মিত সীমা অতিক্রম করে তবে কেউ ব্যাঙ্ককে ক্রেডিট সীমা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করার চেষ্টা করতে পারেন।
ধার নেওয়াতে লাগাম পরান:
আপনি যদি একাধিক ঋণের আবেদন করেন বা ক্রেডিট কার্ড ঘন ঘন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ক্রেডিট স্কোরে প্রভাব পড়তে পারে। নিজের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার সীমিত রাখুন। প্রয়োজন না হলে টাকা ধার করবেন না।