শহর ছাড়িয়ে এখন গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলেও পৌঁছে গিয়েছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার (LPG Gas Cylinder)। কয়লা, কাঠের চুলা বা কেরোসিন স্টোভের পরিবর্তে এখন বহু বাড়িতেই এলপিজি সিলিন্ডারে রান্না করতে দেখা যায়। আর শহুরে জীবনে তো অনেক দিন আগেই পরিচয় ঘটেছে এলপিজি সিলিন্ডারের। আর এই অভ্যাসের ফলে গ্যাস শেষ হলে চোখে অন্ধকার দেখেন অনেকেই। রান্না করতে করতেই আচমকা শেষ হয়ে যায় গ্যাস। তখনি বিপাকে পড়েনা গৃহস্থেরা। তাহলে উপায়?
সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস রয়েছে তা জেনে নেওয়ার গৃহস্থদের একটি ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। অনেকেই সিলিন্ডার নাড়িয়ে তার ওজন দেখে বোঝার চেষ্টা করেন সেখানে আর গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে কি না। তবে এর ফলে আখেড়ে গৃহস্থেরই ক্ষতি হয়। তাহলে কীভাবে জানবেন কতটা গ্যাস রয়েছে আপনার এলপিজি সিলিন্ডারে? তা জানতে ভেজা কাপড় দিয়ে একটি পরীক্ষা করা যেতে পারে। ভেজা কাপড়ের সাহায্যে এই পরীক্ষায় কোনও ঝুঁকিও থাকে না। কীভাবে করবেন এই পরীক্ষা?
প্রথমে একটি ভেজা কাপড় নিন। তারপর সেই কাপড় দিয়ে গোটা সিলিন্ডারটা মুড়ে ফেুলন। কয়েক মিনিট পর সেই কাপড় সরিয়ে নিন। আর সেই কাপড় দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস রয়েছে। সিলিন্ডারের অনেকটা ভাগ কাপড়ের জল শুষে নিয়েছে। কাপড়ের শুকিয়ে যাওয়া অংশের নীচে পর্যন্ত আপনার সিলিন্ডারে গ্যাস রয়েছে। এর পিছনে একটি কারণও রয়েছে। সিলিন্ডারের যে অংশটায় কোনও গ্যাস থাকে না, ফাঁকা থাকে, তা ভিতর থেকেই গরম হয়ে যায়। এর ফলে সিলিন্ডারের ওই অংশের উপরে থাকা ভেজা কাপড়ের অংশের জল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। আর যে জায়গায় এলপিজি গ্যাস রয়েছে তা অনেকক্ষণ পরে শুকোবে। এই সহজ উপায়েই কোনও ঝুঁকি ছাড়া সিলিন্ডারে অবশিষ্ট গ্যাসের পরিমাণ জানা যেতে পারে। আর সিলিন্ডার ডেলিভারির সময় কতটা গ্য়াস রয়েছে তা জানার জন্য ডেলিভারি বয়ের থেকে ওজন করিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার নিন। সাধারণত গৃহস্থালির রান্নার গ্যাস ১৪.২ কেজি হয়। এর কম থাকলে অভিযোগ করুন।