LIC unclaimed money: কোটি কোটি টাকা নেওয়ার লোক নেই! LIC-র ঘরে কত ‘বেওয়ারিশ’ টাকা পড়ে রয়েছে জানেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 12, 2022 | 9:00 AM

LIC unclaimed money: যদি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কেউ কোনও টাকার দাবি জানায়, তাহলে সেই অর্থকে দাবিহীন বা বেওয়ারিশ সম্পত্তি বলে চিহ্নিত করে অর্থ মন্ত্রক।

LIC unclaimed money: কোটি কোটি টাকা নেওয়ার লোক নেই! LIC-র ঘরে কত বেওয়ারিশ টাকা পড়ে রয়েছে জানেন?

Follow Us

নয়া দিল্লি : জীবন বীমা নিগম বা এলআইসি (LIC)-তে টাকা বিনিয়োগ করেন অনেকেই। নির্দিষ্ট সময় পরে অধিক টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন যোজনা রয়েছে এলআইসি-র। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, টাকা ঠিক সময়ে জমা করা হলেও ফেরত নেওয়া হয়নি। যিনি যোজনা করেছেন তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ সেই টাকা দাবি করেননি। নানা কারণেই এমনটা হতে পারে। সে সব ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন কেউ টাকা দাবি না করলে, তার কোনও দাবিদার নেই বলেই ধরে নেওয়া হয়। সম্প্রতি যে হিসেব সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, এ ভাবেই বিপুল দাবিহীন অর্থ জমা হয়েছে জীবন বীমা নিগমের ঘরে। হিসেব বলছে, এলআইসি-র কাছে এমনভাবে যত টাকা জমা হয়েছে তাতে দুটো মহাকাশ অভিযানের অর্থ জোগানো সম্ভব।

হিসেব সামনে এনেছে সেবি (SEBI)

ভারত যে মহাকাশ অভিযানে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে, সেই গগনায়ন সম্পূর্ণ করার জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা, আর এলআইসি-র ঘরে পড়ে থাকা টাকার পরিমান ২১ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ওই টাকা দিয়েই গগনায়ন -এর মতো দুটি প্রকল্প সম্পূর্ণ করা সম্ভব। সম্প্রতি আইপিও এনেছে এলআইসি। আর তার আগে সিকিউরিটিজ অ্য়ান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা সেবি যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২১-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাবিহীন টাকার পরিমান ছিল ২১ হাজার ৫০০ কোটি। ওই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেটা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, ১০ বছর ধরে কোনও টাকার দাবিদার না পাওয়া গেলে, সেই টাকাকে দাবিহীন বা ‘বেওয়ারিশ’ সম্পত্তি বলে চিহ্নিত করে অর্থ মন্ত্রক।

কী করা হবে ওই টাকা দিয়ে?

ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, ১০ বছরের বেশি কেউ টাকা না নিলে সেই টাকা প্রত্যেক বছর বয়স্ক মানুষের জন্য সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার ফান্ডে চলে যায়। কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০১৯-এর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২৫৫ কোটি টাকা ওই ফান্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এই স্থানান্তরের পরও বিনিয়োগকারী ২৫ বছর পর্যন্ত তাঁর টাকা চাইতে পারেন।

কী পদক্ষেপ করেছে এলআইসি?

প্রত্যেক বিনিয়োগকারী যাতে তাঁদের টাকা ফেরত পেয়ে যায়, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছে এলআইসি। প্রতিটি শাখাকে বলা হয়েছে যাতে তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। এ ছাড়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বস তথ্য পেয়ে যাবেন বিনিয়োগকারীরা। নিজের পলিসি নম্বর দিয়ে দেখা যাবে, ওই ব্যক্তি কত টাকা পাবেন।

Next Article