নয়া দিল্লি: মূলধনের নিরিখে দেশের সেরা ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে ক্রমশ কমছে কর্মীর সংখ্যা। বলছে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে সংশ্লিষ্ট সংস্থার রিপোর্টই। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাঙ্কিং থেকে শুরু করে উৎপাদন, অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এসবিআই লাইফ ইনসিওরেন্স ও আইআরসিটিসি ছাড়া অধিকাংশই রাষ্ট্রয়াত্ত সংস্থায় নতুন করে নিয়োগ দূরস্থ বিগত কয়েকবছরে কর্মীদের সংখ্যা কমতে দেখা গিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূলধনের নিরিখে প্রথম সারিতে থাকা ১০ বেসরকারি সংস্থার মধ্যে ৮ সংস্থা ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তাদের লোকবল প্রায় ৩ লক্ষ বাড়িয়েছে। অর্থাৎ করোনাকাল কাটিয়ে এই সংস্থাগুলিতে ৩ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে রিটেইল, আইটি ও ব্যাঙ্কিংয়ে সবথেকে বেশি মাত্রায় কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, পরিসংখ্যান অন্তত এমনটাই বলছে। এই তালিকায় রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইনফোসিস এবং টিসিএস, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং বাজাজ ফিনান্স এবং মারুতি সুজুকি লিমিটেডের মতো সংস্থাগুলি।
ভারতের সব থেকে বড় ব্যাঙ্ক, এসবিআই ২০১৭-১৮-তে শেষবার পাঁচটি ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের পর তাদের কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়েছিল। ব্যাঙ্ক সংযুক্তকরণের পর সেখানে নতুন করে মোট ৭১ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। তার আগের আর্থিক বছরগুলিতে এই ব্যাঙ্কে কর্মী সংকট পরিস্থিতির সাক্ষী ছিল। স্টেট ব্যাঙ্কের সহযোগী এসবিআই কার্ড ও পেমেন্টসেও কর্মীর সংখ্যা ২০২০-র তুলনায় ৩ হাজার ৯৬৭ থেকে কমে ৩ হাজার ৭৭৪ হয়েছে। দেনা ব্যাঙ্ক ও বিজয়া ব্যাঙ্ক সংযুক্ত হওয়ার পরেই ব্যাঙ্ক অব বরোদাতে কর্মীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।
কোল ইন্ডিয়াতেও শেষ ১০ বছরে কর্মীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার থেকে কমে ২ লক্ষ ৪৮ হাজার হয়েছে। শেষ এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থা এনটিপিসিতে কর্মী সংখ্যা ২৫ হাজার ৫১১ থেকে কমে ১৭ হাজার ৪৭৪ হয়েছে। ওএনজিসি, ভারত পেট্রোলিয়াম অথবা গেইলের ক্ষেত্রেও কর্মী কমার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।