কলকাতা: কিছুতেই ফিরছে না হাল। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতার ভারডুবির মুখে পড়েছে শেয়ার বাজার। এদিনও দালাল স্ট্রিটের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই শেয়ারবাজারে দ্রুত পতন শুরু হয়। সেনসেক্স এদিন প্রায় ১০০০ পয়েন্টের বেশি কমেছে, যেখানে নিফটিও প্রায় সাড়ে তিনশো পয়েন্ট কমেছে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেনসেক্স ১০৪৬ পয়েন্ট কমে ৭২,৬২১ পয়েন্টে ট্রেড করতে দেখা গিয়েছে। যেখানে নিফটি ৩৮৮ পয়েন্ট কমে ২১,৯৪৭ পয়েন্টে ট্রেড করছে। বাজারে টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা একদিনে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছে।
মঙ্গলবারের পর বুধবার বিকেল পর্যন্ত স্টক মার্কেটে বিশাল পতনের কারণে, BSE তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির সামগ্রিক মার্কেট ক্যাপ ১২.৬৭ লক্ষ কোটি টাকা কমে গিয়েছে। তাতেই চিন্তায় মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের। সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে দিয়েছেন বড় বিনিয়োগকারীরা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ১৩ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। আদানি এন্টারপ্রাইজ, পাওয়ার গ্রিড, আদানি পোর্টস, এনটিপিসি এবং কোল ইন্ডিয়ার শেয়ার এদিন ৫ শতাংশের বেশি কমেছে।
ভরাডুবির মধ্যেও ভাল পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু শেয়ারকে। একই সময়ে, এই পতনের আবহেও আইটিসি-র স্টক প্রায় ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কোটাক ব্যাঙ্ক, আইসিআইসি ব্যাঙ্ক, বাজাজ ফাইন্যান্সের শেয়ারের দরও বেড়েছে।
আদানি স্টকগুলির পতনের কারণে, আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ ৯০,০০০ কোটি টাকা কমেছে। ফলস্বরূপ ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবের বাইরে চলে গিয়েছেন গৌতম আদানি। বুধবার, আদানির প্রায় সমস্ত শেয়ারের পতন হয়েছে। যার মধ্যে আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ার সবচেয়ে বেশি পড়েছে। প্রায় ৯ শতাংশ। এছাড়াও আদানি টোটাল গ্যাস ৭ শতাংশ, আদানি এন্টারপ্রাইজ ৬ শতাংশ, আদানি উইলমার ৪ শতাংশ, আদানি পোর্ট ৫ শতাংশ, আদানি গ্রিন সলিউশন সাড়ে চার শতাংশ এবং আদানি পাওয়ার ৫ শতাংশ কমেছে।