নয়া দিল্লি: কমতে চলেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম (Medicine price)। মূলত, যে সমস্ত ওষুধের পেটেন্ট বা কৃতিস্বত্বের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, সেই সমস্ত ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ কমতে চলেছে। সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত ওষুধের পেটেন্ট শেষ হয়ে গিয়েছে অথবা শেষের মুখে, সেই সমস্ত ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ কমবে এবং এক বছর পর পাইকারি মূল্য সূচকের পরিবর্তনের সঙ্গে MRP পরিবর্তন হবে।। NPPA-র এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবে স্বস্তি পেতে চলেছে সাধারণ মানুষ।
পেটেন্ট কী?
কৃতিস্বত্ব বা পেটেন্ট হল সরকার কর্তৃক ওষুধ আবিষ্কারককে দেওয়া এক ধরনের অধিকার প্রদানের অনুমোদনপত্র। যে অধিকার বলে অন্য কোনও পক্ষ (সাধারণত সীমিত সময়ের জন্য) সেই ওষুধের আবিষ্কারের প্রস্তুতি, ব্যবহার বা বিক্রয় করতে পারে না। ওষুধ ছাড়া অন্য কোনও পণ্যের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি চলে।
প্রকৃতপক্ষে, সাধারণত একবার একটি ওষুধ সংস্থা বিশ্বব্যাপী তার একচেটিয়া ক্ষমতা হারায়, জেনেরিক সংস্করণের প্রবেশের সঙ্গে দাম ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। সরকারের এই সিদ্ধান্তে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির যে সব ওষুধের পেটেন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেগুলির দামের বিষয়ে স্পষ্টতা প্রদান করে৷ এই নিয়ে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলির সঙ্গে সরকারের মতভেদ চলছে এবং এটি গত কয়েক বছর ধরে একটি জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার পেটেন্ট শেষ হওয়ার পর ওষুধের নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে। দাম কমবে ওষুধের।
কবে থেকে ওষুধের দাম কমবে
বিগত কয়েক বছরে পেটেন্ট হারানোয় ভিল্ডাগ্লিপটিন এবং সিটাগ্লিপটিন সহ জনপ্রিয় অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধের দাম এবং ভালসার্টান সহ কার্ডিয়াক ওষুধের দাম কমেছে। পরবর্তীকালে, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি তাদের ক্রয়ক্ষমতা উন্নত করতে এই ওষুধগুলির সর্বোচ্চ দাম নির্ধারিত হয়।
পেটেন্ট ওষুধের জন্য নীতি নিশ্চিত করা হয়নি
যে সমস্ত ওষুধের পেটেন্ট আছে, সেগুলির দাম কী হবে, তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। অতীতে অবশ্য সরকার একাধিকবার ওষুধের দাম নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছিল এবং বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু, আদতে সুরাহা হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সমস্ত ওষুধের পেমেন্ট আছে, সেগুলির দাম নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরেই থাকবে।