নয়া দিল্লি: বর্ষশেষে দেশবাসীকে বড় উপহার দিতে পারে মোদী সরকার। আগামী বছরের শুরুতেই লোকসভা নির্বাচন। সূত্রের খবর, তার আগে খুচরো বাজারে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা কমাতে পারে সরকার। বছর শেষ হওয়ার আগেই এই পরিবর্তিত দাম ঘোষণা করা হতে পারে। বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জ্বালানীর দাম প্রতি লিটারে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমানোর প্রস্তাব তৈরি করেছে। শীগগিরই এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ক্রয় মূল্য অনেকটা কমাতেই, খুচরো বাজারে জ্বালানির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক, এমনটাই জানা গিয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি রয়েছে গড়ে ৭৭.১৪ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে তেলের দাম অনেকটা বেড়েছিল। এর আগের অর্থবর্ষে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৯৩.১৫ ডলার। খুচরো বাজারে তেলের দাম সরকার শেষবার বাড়িয়েছিল ২০২২ সালের এপ্রিলে। তারপর থেকে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মধ্যে, চলতি অর্থবর্ষে অপরিশোধিত তেলের দাম কম থাকায়, এই বছর ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন – এই তিন রাষ্ট্রায়ত্ব তেল বিপণন সংস্থাই বড় লাভ করেছে। তিন সংস্থার সম্মিলিত মুনাফার পরিমাণ ৫৮,১৯৮ কোটি টাকা! গত অর্থবর্ষে অপরিশোধিত তেলের দাম বেশি থাকায় তিন সংস্থারই বড় ক্ষতি হয়েছিল। যার জন্য, সর্বশেষ কেন্দ্রীয় বাজেটে তাদের জন্য ৩০,০০০ কোটি টাকার সমর্থন প্যাকেজও ঘোষণা করেছিল সরকার।
সূত্রের খবর, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে বিজেপির বড়জয়ের পর, লোকসভা নির্বাচন তাড়াতাড়ি করতে পারে সরকার। তবে, লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সবথেকে বড় অভিযোগ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ট্রণে ব্যর্থতা। এর মধ্যে তেলের দাম যদি লিটার প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা কমে, সেই ক্ষেত্রে বিরোধীদের এই অভিযোগও ভোঁতা হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রলের দাম যাচ্ছে ১০৬.৩ টাকা। আর ডিজেল প্রতি লিটার ৯২.৭৬ টাকা। দিল্লিতে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম একটু কম, যথাক্রমে ৯৬.৭১ টাকা এবং ৮৯.৬২ টাকা। তবে, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে দুই জ্বালানির দামই লিটার প্রতি ১০০ টাকার উপরে রয়েছে।