নয়া দিল্লি: সেভিংস স্কিমে টাকা বিনিয়োগের যত ধরনের বিকল্প রয়েছে, তার মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিটই (Fixed Deposit) সবচেয়ে জনপ্রিয়। টাকা সুরক্ষিত রাখতে, এবং তার সঙ্গে অতিরিক্ত সুদ পেতে এই এফডি করার আগ্রহই বেশি দেখান ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরা। বয়স নির্বিশেষে সব মানুষই নিজের টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করতেই ভালোবাসেন। যার অন্যতম কারণ হল-সুদের পরিমাণ কম হলেও অন্যান্য স্কিমের তুলনায় এই ক্ষেত্রে ঝুঁকির সম্ভাবনা কম। টাকা ফিক্সড রাখার সময়সীমা বড় হোক বা ছোট, পছন্দ অনুযায়ী সময়ের জন্য এখানে টাকা বিনিয়োগ করা যায়। এই প্রতিবেদনে ফিক্সড ডিপোজিট সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে, যে বিষয়গুলি মাথায় রেখে গ্রাহকেরা এই স্কিমে আরও লাভজনক হতে পারেন।
সাধারণত, ফিক্সড ডিপোজিত দু’ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটি হল কমিউলেটিভ এফডি, দ্বিতীয়টি নন কমিউলেটিভ এফডি। এই দুই স্কিমে ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক হারে সুদ মেলে। তবে গ্রাহক চাইলে নিয়মিত ব্যবধানেও সুদ তুলতে পারেন।
*ফিক্সড ডিপোজিটকে বিনিয়োগের সবচেয়ে সুরক্ষিত মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয়।
*এই স্কিমে টাকা গচ্ছিত রাখলে মূলধনের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি থাকে না। সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের রিটার্নও মেলে।
*যেহেতু শেয়ার বাজারের সেনসেক্স ও নিফটি ওঠা-নামার কোনও প্রভাব এর উপর পড়ে না, তাই ঝুঁকিও থাকে ন্যূনতম।
*এই স্কিমে বিনিয়োগকারী মাসিক সুদও উসুল করতে পারেন।
*ফিক্সড ডিপোজিটে পাওয়া সুদের পরিমাণও অন্যান্য স্কিমের থেকে বেশি হয়।
*যে কোনও একটি ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে একবারে একটাই নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা গচ্ছিত রাখা যায়।
*কেউ যদি এরপরও টাকা ফিক্স করতে চান তবে তাঁকে পৃথক এফডি অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।
*প্রত্যেক ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমের ক্ষেত্রেও টাকা ম্যাচিওর হওয়ার একটি সময়সীমা থাকে। কিন্তু এই স্কিমের সুবিধা হল, প্রয়োজন পড়লে টাকা তুলেও নেওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রে সুদ বাদ পড়ে যায়।
ফিক্সড ডিপোজিটের উপর ০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর নেওয়া হয়। বিনিয়োগকারীর আয়কর কাঠামোর উপর নির্ভর করে এই কর নেওয়া হয়। যদি আপনার রোজগার মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি হয় তবে বছরে ফিক্সড ডিপোজিটের উপর ১০ শতাংশ কর আদায় করা হবে। কেউ যদি নিজের প্যান কার্ড নম্বর নথিভুক্ত না করেন তবে ২০ শতাংশ ট্যাক্স কেটে নেওয়া হয়। করের কোপ এড়াতে ব্যাঙ্কে ফর্ম ১৫এ জমা দিতে হয়। ৬০ উর্ধ্ব নাগরিকদের ফর্ম ১৫এইচ জমা করতে হয়।
আরও পড়ুন: Consent for Sex: যৌনতায় সম্মতি মানেই নারীর প্রজননের অধিকারে হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ আদালতের