নয়া দিল্লি: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের সংজ্ঞা। বর্তমানে নতুন কোনও পণ্য বাজারে আসার আগেই অনলাইনে তার প্রচার শুরু হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে প্রচারের উপরই বেশি গুরুত্ব দেন অনেক সংস্থাই। সোশ্যাল মিডিয়ার ‘ইনফ্লুয়েন্সার’রাও ওই পণ্যের প্রচার চালান, তার বদলে বিনামূল্যে পেয়ে যান ওই পণ্য। ব্যবসার পোশাকি ভাষায় একেই বলে ‘কোলাবরেশন’। এইসব পণ্য বা পরিষেবার উপরে কোনও কর বা ট্যাক্স দিতে হয় না। তবে এবার থেকে সেই নিয়মেও পরিবর্তন আসতে চলেছে। আগামী মাস থেকেই বদল করা হচ্ছে টিডিএস।
জানা গিয়েছে, আগামী জুলাই মাস থেকে ট্য়াক্স ডেডাকটেড অ্যাট সোর্স বা টিডিএস বসানো হচ্ছে বিনামূল্যে পাওয়া জিনিস বা উপহারের উপরে। যে সমস্ত ব্যবসার সেলস প্রোমোশনের জন্য সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার ও চিকিৎসকদের কাছে বিনামূল্যে উপহার পাঠানো হয় , তার উপরে ১০ শতাংশ টিডিএস বসানো হবে। সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সের তরফে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
২০২২ সালের অর্থ আইনে এই নতুন নিয়ম যোগ করা হয়েছে। সরকারের আদায় করা করের পরিধি যাতে বৃদ্ধি করা হয়, সেই কারণে এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে। একইসঙ্গে যারা এই ধরনের সেলস প্রোমোশন থেকে লাভবান হন, তারাও যাতে ট্য়াক্স রিটার্ন ও কর দেয়, তা নিশ্চিত করার জন্যও এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।
নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যদি কোনও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার কোনও সংস্থার কাছ থেকে মার্কেটিং প্রোমোশনের জন্য বিনামূল্য কোনও যন্ত্র বা অন্য কোনও পণ্য গ্রহণ করেন, তবে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১০ শতাংশ টিডিএস দিতে হবে। তবে যদি কোনও ইনফ্লুয়েন্সার প্রোমোশনের পর ওই পণ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ফেরত দিয়ে দেন, তবে সেক্ষেত্রে টিডিএস দিতে হবে না।
প্রোমোশনের জন্য যে সমস্ত পণ্যের উপর টিডিএস বসবে, তার মধ্যে গাড়ি, মোবাইলের মতো দামি পণ্য থেকে শুরু করে জামা-কাপড়, প্রসাধনী সামগ্রীও অন্তর্গত। তবে কেউ যদি ওই পণ্য ব্যবহার করে প্রচার চালানোর পর তা সংস্থাকে ফেরত দিয়ে দেন, তবে তা টিডিএসের অন্তর্ভুক্ত হবে না। আয়কর আইনের ১৯৪আর ধারায় এই কর বসানো হবে।