‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ অর্থাৎ বাড়ি থেকে কাজ করার অপশন যে আগে ছিল না, তা নয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এই রীতির সঙ্গে সবাই পরিচিত হয়েছেন। তবে এবার আসছে আরও এক নতুন বিকল্প, ‘ওয়ার্ক হোয়েনেভার’ (Work Whenever) অর্থাৎ যখন খুশি কাজ। সেই পদ্ধতিতে এবার কাজ করতে চাইছেন বহু কর্মী। ৯ টা- ৫টা বা ১০টা- ৬টার বেড়াজাল থেকে মুক্তি চাইছেন তাঁরা।
স্ল্যাক সার্ভে নামে এক সমীক্ষায় সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, ৯৪ শতাংশ কর্মী চাইছেন ‘ওয়ার্ক হোয়েনেভার’ অর্থাৎ কাজের সময় তাঁরা বেছে নিতে চান ইচ্ছে মতো। আর ৮০ শতাংশ কর্মী সময়ের থেকে কাজের জায়গা নিয়ে বেশি চিন্তিত।
তবে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, প্রায় কোনও কর্পোরেট সংস্থার পক্ষেই সময় বদলানো সম্ভব নয়। ৫০ শতাংশ সংস্থাই জানিয়েছে, বর্তমানে যে সময় ধরে কাজ হয়, তা বদলানো সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যাঁরা নির্দিষ্ট কাজের সময় নিয়ে হাঁফিয়ে উঠেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই চাকরি বদলানোর কথা ভাবছেন।
আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি, জাপান ও ইউকে-র ১০ হাজার ৬৪৬ জন কর্মীকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ফিউচার ফোরামের ভিপি ব্রায়ান এলিয়ট জানান, করোনা পরিস্থিতি অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। যে কোনও জায়গা থেকে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে অনেক কর্মীর। এর ফলে ৯ টা ৫ টার চিরাচরিত প্রথা থেকে বেরিয়ে এসেছেন অনেকে।
উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় ‘এয়ারনব’ (Airnb) -এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারেন, চাইলে অফিস থেকে কাজ করতে পারেন, এমনকী চাইলে অন্য দেশ থেকেও কাজ করতে পারেন কিছু সময়ের জন্য। আর এই সুযোগ দেওয়ায় আগ্রহী হয়েছেন অনেকে। ব্রায়ান এলিয়ট মনে করেন, সংস্থার সাফল্যের জন্য কিছু ঝুঁকি নিতে হয়, তার মধ্যে কর্মীদের এই সব সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিও থাকছে। তিনি উল্লেখ করেন, কর্মীদের থেকে কাজ পেতে শুধু কাজের জায়গা নিয়ে নয়, কাজের সময় নিয়েও কিছু ছাড় দিতেই হবে।