Ola Electric’s ‘Red Flag’: ১৭০০ কোটি টাকার ঋণ, শেয়ারের দরে পতন! কী হবে Ola-র ভবিষ্যৎ?
Ola Electric: ওলা ইলেকট্রিকের পরিচালন বোর্ড ইতিমধ্যেই ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার তোলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে। একাধিক ঋণ, স্বল্পমেয়াদি ঋণ ও নন কনভার্টেবল ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে এই তাকা তুলবে ওলা। যা আসলে খুব ভাল কোনও খবর নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওলা ইলেকট্রিক, এক সময় ধূমধাম করে ভারতের বাজারে সস্তার ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে এসেছিল সংস্থা। ক্রমে ক্রমে বাজারের ৫০ শতাংশ দখলও করে ফেলেছিল ভবেশ আগরওয়ালের এই সংস্থা। ভারতের বাজারে ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরি শুরু করেছিল এথার ইলেকট্রিক। কিন্তু ইলেকত্রিক স্কুটারকে জনপ্রিয় ও মেনস্ট্রিম করার কাজ করেছে ওলা ইলেকট্রিকই। এক সময় স্কুটার বিক্রির হিসাবে এথারের মতো নতুন সংস্থা, বাজাজ, টিভিএস ও হিরোর মতো পুরনো সংস্থাদের একসঙ্গে হারিয়ে দিতে ওলা। আর আজ সেই সংস্থার বিক্রি নেমে গিয়েছে ২০ শতাংশে। হুড়মুড়িয়ে পড়েছে শেয়ারের দামও। একই সঙ্গে শেয়ারের দামও পড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ।
ওলা ইলেকট্রিকের পরিচালন বোর্ড ইতিমধ্যেই ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার তোলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে। একাধিক ঋণ, স্বল্পমেয়াদি ঋণ ও নন কনভার্টেবল ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে এই তাকা তুলবে ওলা। যা আসলে খুব ভাল কোনও খবর নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়াও সংস্থার পরিচালন ব্যয় ১৮০ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। তা সত্ত্বেও নিট লোকসান এখনও কাটেনি।
কেন কমছে আস্থা?
ওলার বিরুদ্ধে এলজি সংস্থার ব্যাটারির টেকনোলজি চুরির অভিযোগ উঠেছে কিছু দিন আগেই। যা নিয়ে একটা বিতর্ক ইতিমধ্যেই চলছে। এ ছাড়াও ওলার শোরুমের লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা ও স্কুটারে আগুন লাগার মতো একাধিক অভিযোগ এই ব্র্যান্ডের ওপর থেকে গ্রাহকের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে। আর এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে সংস্থার আয়ে। জুনের ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট বলছে কিছুটা বেড়েছিল সংস্থার রেভেনিউ। যদিও সেই রেভেনিউ এক ধাক্কায় অনেকটাই পড়েছে সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকের রিপোর্টে।
নেগেটিভ কন্ট্রিবিউশন মার্জিন
ওলা ইলেকট্রিকের কাছে সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হল স্কুটার বিক্রির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংস্থার ক্ষতির অঙ্ক। অর্থাৎ, যেখানে বিক্রি বাড়লে লস কমে, সেখানে ওলার প্রতিটা স্কুটারই বিক্রি হচ্ছে লসে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাবে চলতে থাকলে লাভের অঙ্কে পৌঁছতে ওলার সময় লাগবে ২০২৯ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত।
ফ্যাক্টরি ও পিএলআই ঝুঁকি
ওলার ১.৪ গিগাওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্ল্যান্টের সম্প্রসারণের লক্ষ্য ইতিমধ্যেই পিছিয়ে গিয়েছে। ২০২৬ সালের বদলে সেই কাজ হবে ২০২৯ সালের মধ্যে, জানা গিয়েছে সূত্র থেকে। ফলে, ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য যে ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, সেই টাকাও এখনও কাজে লাগেনি। আর যদি এই ব্যাটারি উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ না হয়, তাহলে পিএলআই স্কিমের অধীনে জরিমানা হতে পারে ওলার।
এত কিছুর পরও কিন্তু ওলার একটা ঘুরে দাঁড়ানোর বিরাট জায়গা রয়েছে। তাদের কাস্টমার সাপোর্ট ঠিক করা। তাদের সার্ভিস সেন্টার ও ফাস্ট চার্জারের সংখ্যা ও পরিষেবা যদি ওলা বাড়াতে পারে, তাহলে আগামীতে এই সংস্থা যে ঘুরে দাঁড়াবেই, এই কথা বলাই যায়। আর তাহলেই চড়চড়িয়ে বাড়বে সংস্থার উপার্জন ও লাভের অঙ্কও।
