TV9 Bangla Explained on Layoff: ১,৫০,০০০ চাকরি গেল ২০২২ সালে! কেন রাতারাতি এত কর্মী ছাঁটাই? জানুন কারণগুলি

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 23, 2023 | 7:45 AM

Job Cut: সম্প্রতিই একটি সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার দেড় লক্ষেরও বেশি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। চাকরির বাজারের এই মন্দা জারি রয়েছে ২০২৩ সালেও।

TV9 Bangla Explained on Layoff: ১,৫০,০০০ চাকরি গেল ২০২২ সালে! কেন রাতারাতি এত কর্মী ছাঁটাই? জানুন কারণগুলি
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ।

Follow Us

নয়া দিল্লি: অফিসে যাওয়ার জন্য সকালে রেডি হচ্ছিলেন, হঠাৎ ফোনে টুং করে একটা মেসেজ এল। জানিয়ে দেওয়া হল, আজ থেকে আর অফিসে আসার দরকার নেই। অনেকেই আবার সারাদিন অফিসে খাটাখাটনির পর বাড়ি ফেরার সময়ে জানতে পারছেন যে তাঁর চাকরি নেই। এই অভিজ্ঞতা একজনের নয়, হাজার হাজার মানুষ এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন বিগত কয়েক মাসে। বিগত কয়েক মাসে গুগল থেকে মাইক্রোসফ্ট (Microsoft), টুইটার (Twitter) থেকে ফেসবুক (Facebook), বিভিন্ন বড় বড় সংস্থায় কর্মী ছাঁটাইয়ের (Layoff) ঘোষণা করা হয়েছে। ভাল করে নজর দিলে দেখা যাবে, এই সমস্ত সংস্থাই আন্তর্জাতিক সংস্থা। যে সংস্থাগুলি থেকে ছাঁটাই করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে একটা বড় অংশই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা। তবে শুধু তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাই নয়, অ্যামাজনের মতো বহুজাতিক সংস্থাতেও কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে ধাপে ধাপে।

সম্প্রতিই একটি সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার দেড় লক্ষেরও বেশি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। চাকরির বাজারের এই মন্দা জারি রয়েছে ২০২৩ সালেও। বিগত দুই সপ্তাহেই অ্যামাজন, টুইটারের মতো বড় বড় সংস্থা যেমন নতুন করে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে, তেমনই আবার জ্যোমাটো, সুইগির মতো ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির তরফেও কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

কেন ছাঁটাই করা হচ্ছে এই সংস্থাগুলিতে?

আর্থিক মন্দা- করোনাকালে অর্থনীতির গতি থমকে গিয়েছিল। সংক্রমণ কমার পর সেই অর্থনীতি সচল হলেও, পুরনো অবস্থা আর ফিরে আসেনি। বর্তমানে অর্থনীতির উপরে দেখা দিয়েছে মন্দার ছায়া। এটা কোনও দেশের মধ্যে নয়, গোটা বিশ্বেই এই মন্দার প্রভাব পড়ছে। ইতিমধ্যেই আমেরিকা, ইউরোপে এই মন্দার প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালের শুরু থেকেই বিশ্বের বাকি দেশেও মন্দার প্রভাব দেখা যাবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

কমছে চাহিদা-

করোনাকালে লকডাউনের জেরে গৃহবন্দি হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। সেই সময়ে অনলাইনে জিনিসপত্র কেনার ব্যাপক চল শুরু হয়। মাস্ক, স্যানিটাইজারের মতো পণ্য, যার নামই অনেকে আগে শোনেননি, তারাও এই পণ্যগুলি কিনতে শুরু করেন। ব্য়াপক বিক্রি বাড়ে ইন্সট্যান্ট খাবার থেকে অন্যান্য পণ্যের। কিন্তু করোনা কমতেই ফের কমেছে সেই পণ্যগুলির চাহিদা। অনলাইনে অর্ডারের হারও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো সংস্থায় এত বিপুল কর্মীর প্রয়োজন হারিয়ে যায়। সেই কারণেই রাতারাতি ছাঁটাই করা হয় সেই সমস্ত কর্মীদের।

হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি-

করোনা সংক্রমণের সময়ে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পণ্যের জোগান দিতে গিয়ে একাধিক পণ্যের দাম বেড়েছিল হঠাৎ। এক ধাক্কায় অনেকটা দাম বাড়াতেই মূল্যবৃদ্ধির কোপ পড়েছে মধ্য়বিত্তের পকেট থেকে বড় বড় সংস্থায়। এই মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়তেও, অনেক সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে।

খরচ কমানো-

করোনাকালে আর্থিক মন্দার জেরে একাধিক সংস্থা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল একাধিক সংস্থা। সেই ক্ষতির মুখ থেকে সংস্থাকে পুনরুদ্ধার করতেই বহু সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে। সংস্থাগুলির কথায়, অল্প সংখ্যক কর্মীদের দিয়েই প্রয়োজনীয় কাজ করানো সম্ভব।

Next Article