নয়া দিল্লি: ১০০-২০০ টাকার জিনিস কিনছেন বা পেট্রোল (Petrol) ভরাচ্ছেন, এদিকে বিলিং কাউন্টারে যেতেই পকেট থেকে বের হচ্ছে শুধু ২০০০ টাকা (2000 Rs Note)। নিতে অস্বীকার করলেই গ্রাহকেরা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া(Reserve Bank of India)-র নির্দেশিকার যুক্তি দিচ্ছেন। গ্রাহকদের কথায়, আরবিআই (RBI) বলেছে কোনও দোকান বা প্রতিষ্ঠান ২০০০ টাকার নোট গ্রহণ করতে অস্বীকার করতে পারবে না। আর সেই যুক্তি দেখিয়েই সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কে যাওয়ার বদলে বিভিন্ন দোকান বা পেট্রোল পাম্পেই লাইন দিচ্ছেন। এর জেরে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। বহু পাম্পেই ২০০০ টাকার নোট নেওয়া হবে না জানিয়ে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে ২০০০ টাকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা করা হয়। ব্যাঙ্কের তরফে এই নোট আর ছাপানো হবে না বলেই জানানো হয়। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে যে ২০০০ টাকার নোট রয়েছে, তাও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ঘোষণার পরই অনেকে বলতে শুরু করেছেন ২০১৬ সালে যেমন নোটবন্দি করা হয়েছিল, এবারও একই ঘটনা ঘটতে চলেছে। সাধারণ মানুষের মন থেকে বিভ্রান্তি দূর করতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ জানান, ২০০০ টাকার এই নোট এখনও বৈধ। কোনও দোকানী এই নোট নিতে অস্বীকার করতে পারবেন না।
আরবিআইয়ের এই ঘোষণার পরই সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্কে কম, পেট্রোল পাম্পে বেশি ছুটতে দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে পঞ্জাব, বিহার থেকে হরিয়ানা, বিভিন্ন রাজ্যেই চিত্রটা এক। পেট্রোল পাম্পের কর্মীদের দাবি, আরবিআই-র ঘোষণার পর থেকেই প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন গ্রাহক আসছেন ২০০০ টাকার নোট নিয়ে। তারা ১০০-২০০ টাকার পেট্রোল ভরালেও, টাকা দিচ্ছেন ২০০০ টাকার নোটেই।
বহু জায়গাতেই বাধ্য হয়ে পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষের তরফে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে বলা হয়েছে, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা বা ২০০ টাকার পেট্রোল বা ডিজেল ভরানোর জন্য ২০০০ টাকার দেবেন না। পাম্পে আসা গ্রাহকদের যুক্তি, ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট বদলানো যথেষ্ট ঝক্কির। এর থেকে পেট্রোল পাম্প বা অন্য কোনও দোকানে ২০০০ টাকার নোট খরচ করে নেওয়া ভল। এদিকে, পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা জানিয়েছেন, রোজ গ্রাহকেরা ২০০০ টাকার নোট নিয়ে আসছেন, এতজনকে খুচরো দেওয়া সম্ভব নয়।