ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই অনেকেই জীবন বিমা করেন। জীবন বিমা (Life Insurance) করলে শুধু যে ভবিষ্যত সুরক্ষিত হবে এমনটা নয়, বরং দুর্ঘটনার মৃত্যু হলেও মিলবে অনেক আর্থিক সুযোগ সুবিধা। এই সব কথা মাথায় রেখেই অনেকেই এলআইসি পলিসি করে থাকেন। এলআইসিতে বিমা করার ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এলআইসি যেহেতু একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তাই সেখানে বিমা করলে নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হয়। তাই ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসে (Post Office) সঞ্চয়ের পরে সাধারণ মধ্যবিত্তরা এলআইসিকেই বেছে নেন। যারা আমৃত্যু এলআইসি পলিসির সুবিধা পেতে চান, পেতে চান পেনশন, তাদের জন্য দুর্ধর্ষ পলিসির ব্যবস্থা করেছে এলআইসি। সরল পেনশন যোজনা নামের এই এলআইসি পলিসিতে ৪০ বছর বয়স থেকে আর্থিক সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। এই পলিসিতে এককালীন বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ এই পলিসি নিলে ৪০ বছর বয়স থেকে পেনশন মিলবে। এই পেনশন স্কিমে ন্যূনতম ৫ শতাংশ রিটার্ন নিশ্চিত।
বয়সসীমা
৪০ থেকে ৮০ বছর বয়সী যে কেউ এই সিঙ্গেল প্রিমিয়াম স্কিমটি কিনতে পারেন।
কত রিটার্ন নিশ্চিত?
স্কিমের নিয়ম অনুযায়ী পলিসি গ্রাহকরা দুটি পদ্ধতির যে কোনও একটির মাধ্যমে পেনশন বেছে নিতে পারেন। ন্যূনতম মাসিক ১ হাজার টাকা অথবা বার্ষিক ১২ হাজার টাকা। এই ন্যূনতম পেনশন পাওয়ার জন্য কোনও পলিসি গ্রাহককে বার্ষিক ও এককালীন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে।
কোনও গ্রাহক যদি এই স্কিমে ১০ লক্ষ টাকা এককালীন বিনিয়োগ করেন তবে বার্ষিত ৫০ হাজার ২৫০ টাকা পেনশন পাবেন। একই ভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ এককালীন ২০ লক্ষ টাকা হলে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা প্রিমিয়াম নিশ্চিত।
অন্যান্য সুযোগ
এই স্কিমের গ্রাহকরা স্কিম নেওয়ার ৬ মাস পর এখান থেকে ঋণ পেতে পারেন।
গ্রাহকের আকস্মিক মৃত্যু হলে তাঁর নমিনিকে প্রিমিয়ামের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
একবার স্কিম কিনে নিলে পেনশনের অঙ্কে কোনও বদল হবে না।