কলকাতা: বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ৪ শতাংশ কমল। মার্কিন তেলের দাম কমেছে ৫ শতাংশের বেশি। মধ্যপ্রাচ্যের তেলের দামও প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে। যার জেরে অপরিশোধিত তেলের দাম গত ১৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় ফিউচার মার্কেটে প্রায় ৬ শতাংশ পতনে ট্রেড করছে অপরিশোধিত তেল। বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিশোধিত তেলের দাম কমার কারণে এই বছর ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ১৫ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।
বিদেশি বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে ধস
একের পর এক মার্কিন ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষেত্রে যে কাঁপুনি শুরু হয়েছে, তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে অপরিশোধিত তেলের দামেও। ব্লুমবার্গ কমোডিটির মতে, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৫ শতাংশ কমেছে। যার কারণে ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেল প্রতি প্রায় ৪ ডলার কমে ব্যারেল প্রতি ৭৩.৬২ ডলারে পৌঁছেছে। এই দাম ক্রমে ব্যারেল প্রতি ৭২ ডলারের নীচে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। একই সময়ে, আমেরিকান অয়েল ডব্লিউটিআই-এর দাম ৫.২৬ শতাংশ কমেছে। ব্যারেল প্রতি দাম ৩.৬৩ ডলার কমে, ব্যারেল প্রতি ৬৭.৭০ ডলারে নেমে এসেছে। দুই অপরিশোধিত তেলের দামই ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে।
ভারতে অপরিশোধিত তেলের দাম ৬ শতাংশ কম
অন্যদিকে, ভারতের ফিউচার মার্কেটে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ৬ শতাংশ কমেছে। ব্যারেল প্রতি দাম ৩৪৬ টাকা কমে ৫,৬৩৭ টাকা হয়েছে। ট্রেডিং সেশনে অপরিশোধিত তেলের দাম ৫,৬১৭ টাকা হয়ে গিয়েছিল। তবে, ফিউচার মার্কেট খোলার সময় অপরিশোধিত তেলের দান ছিল ৫,৯৬৮ টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিশোধিত তেল ৫,৫০০ টাকায় নেমে আসার সম্ভাবনা প্রবল।
পেট্রোল কি সস্তা হবে?
কেডিয়া অ্যাডভাইজরির ডিরেক্টর অনুজ গুপ্তার মতে, অপরিশোধিত তেলের দাম আরও কমতে পারে। ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ৭২ ডলারে নেমে যেতে পারে। আগেই অবশ্য এটা অনুমান করা হচ্ছিল। প্রকৃতপক্ষে, আর্থিক ক্ষেত্রে টানাপোড়েনের কারণেই অপরিশোধিত তেলের দাম কমছে। অনুজ গুপ্তার দাবি, এই বছর ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অনেকটা কমতে পারে। সরকার এবং তেল সংস্থাগুলির যৌথ প্রচেষ্টায়, জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা পর্যন্ত কমানো যেতে পারে।