কলকাতা: পেট্রোল ডিজেলের খুচরো বিক্রেতারা জ্বালানি তেলের দাম কম করতে পারেন, কারণ ইউরোপে কোভিডের সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। কোভিড সংক্রমণের কারণে গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কম হয়েছিল। আরও একবার কোভিড সংক্রমণ বাড়ায় তেলের দাম কম হতে দেখা যাচ্ছে।
শুক্রবার বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৬.৯৫ শতাংস কমে ৭৮.৮৯ ডলার প্রতি ব্যারেল হয়ে গিয়েছে, যা ১০ দিন আগে ছিল ৮৪.৭৮ ডলার প্রতি ব্যারেল। রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত তেল কোম্পানিগুলি অটোমোবাইল ইন্ধনে মুনাফা পেয়েছে, কিন্তু তারা গ্রাহকদের ফায়দা দেওয়ার আগে কিছু সময়ের জন্য বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমার ট্রেন্ড স্টাডি করেছে। কারণ গত বারও যখন কোভিড সংক্রমণ চরমে ছিল তো ইন্ধনের দাম অনেকটাই কমে গিয়েছিল।
বর্তমানে অনুমান করা হচ্ছে যে সাধারণ মানুষ জন্য তেলের দামে প্রতি লিটারে এক টাকা কম হতে দেখা যেতে পারে। ভারতে অটোমোবাইল ইন্ধনের খুচরো দাম ৪ নভেম্বর থেকে স্থির রয়েছে। ওই দিন কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল আর ডিজেলের উপর লেভিতে ৫ টাকা আর ১০ টাকা প্রতি লিটার কম করেছিল। কলকাতায় পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ১০৪.৬৭ টাকা। অন্যদিকে ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৮৯.৭৯ টাকা।
রাজধানী দিল্লিতে এদিন পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ১০৩.৯৭ টাকা এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৮৬.৬৭ টাকা। অন্যদিকে মুম্বইতে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১০৯.৯৮ টাকা এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৯৪.১৪ টাকা। চেন্নাইতে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ১০১.৫৬ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯১.৫৮ টাকা। হায়দরাবাদে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ১০৮.২০ টাকা এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৯৪.৬২ টাকা। বেঙ্গালুরুতে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ১০০ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৪.৬২ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি তেল বিপণন কোম্পানিগুলির বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার লাভ গ্রাহকদের দেওয়া উচিৎ। কারণ তাদের পেট্রোল আর ডিজেলের খুচরো দাম প্রতিদিন সংশোধন করতে হয়। পরিকল্পনা কমিশনে বিশেষ ডিউটিতে থাকা এক প্রাক্তন আধিকারিক এসসি শর্মা বলেছেন, যেহেতু তেলের দাম কমেছে আর ভবিষ্যতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে, এই কারণে ভারতের তেল বিপণন কোম্পানিগুলিরও গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়া উচিৎ। ভারত তেলের দামের অভূতপূর্ব বৃদ্ধি দেখেছে। সরকার দীপাবলির একদিন আগে পেট্রোলের উপর ৫ টাকা আর ডিজেলের উপর ১০ টাকা প্রতি লিটারে এক্সাইজ ডিউটি কম করার কথা ঘোষণা করেছিল। এরপর থেকে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় একই রয়েছে।
আরও পড়ুন: BJP State Office: গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ, তৃণমূলের বিক্ষোভ সরতেই রাজ্য দফতরকে আগলে রেখেছে বিজেপি