নয়া দিল্লি: কৈলাশ থেকে মর্ত্যে এসেছেন উমা। শুরু হয়েছে তাঁর আরাধনা। আজ ষষ্ঠী। উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছেন সকলে। তবে দুর্গা পুজোতেই কিন্তু উৎসবের মরশুমের শেষ নয়। সামনেই রয়েছে লক্ষ্মী পুজো, ধনতেরাস, কালী পুজো। এই উৎসবের মরশুমে অনেকেই সোনা কেনেন। সোনা ক্রয় সবসময়ই ভাল বিনিয়োগ বলে মনে করা হয়। উৎসবের মরশুমে একদিকে যেমন সোনা কেনাকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তেমনই আবার গহনা প্রস্তুতকারকরাও বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। আপনারও যদি এই উৎসবের মরশুমে সোনা কেনার পরিকল্পনা থাকে, তবে এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন গহনা কেনার আগে।
সোনার বিশুদ্ধতা মাপা হয় ক্যারেটে। ২৪ ক্যারেট সোনাকে বিশুদ্ধ সোনা হিসাবে গণ্য় করা হয়। এছাড়া ২২ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেটের সোনাও হয়। গহনা কেনার আগে তা কত ক্যারেটের, অবশ্যই যাচাই করে নেবেন।
সোনার দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করে। তাই গহনা কিনতে যাওয়ার আগে সেই দিনের সোনার বাজার দর না জানলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাজারে যে সময়ে মন্দা চলে, সোনার দাম অনেকটাই কমে যায়, সেটাই সোনার গহনা কেনার আদর্শ সময়।
সোনার গহনার বিশুদ্ধতা ও ওজনের উপরে যেমন দাম নির্ভর করে, তেমনই তার সঙ্গে যোগ হয় মেকিং চার্জও। অর্থাৎ গহনা তৈরি করার জন্য কারিগরের মজুরি। এটি বিভিন্ন দোকানে ভিন্ন দর হয়। তাই গহনা কেনার আগে কোথায় মেকিং চার্জ কম, তা জেনে নিন।
সোনার গহনা কিনলে অবশ্যই তার বিল ও রিসিপ্ট নেবেন। এটা সোনার বিশুদ্ধতা, ওজনের প্রমাণ। মেকিং চার্জ কত নেওয়া হচ্ছে, তাও উল্লেখ থাকে বিলে। গহনা পরিবর্তনের জন্যও বিল প্রয়োজনীয়।
গহনার বিশুদ্ধতার প্রমাণ হল হলমার্ক। তাই গহনা কেনার সময় তা হলমার্কযুক্ত কি না, তা অবশ্যই দেখে নেবেন।