নয়া দিল্লি: বর্তমান যুগে দ্রুত বদলে যাচ্ছে কর্মপদ্ধতি। কর্মজীবনের সার্বিক উন্নতি ও আরও বেশি অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে অনেকেই দ্রুত চাকরি বদলান। এই পদ্ধতি অত্যন্ত খারাপ, কারণ কোনও এক সংস্থায় যদি আপনি ন্যূনতম এক বছরও চাকরি না করেন, তবে তা আপনার কেরিয়ারে বাজে প্রভাব ফেলতে পারে। যে সংস্থায় আপনি কাজের জন্য আবেদন করছেন, তাদের কাছে এই ধারণা তৈরি হতে পারে যে আপনি কর্মরত সংস্থার প্রতি বিশ্বস্ত নন। তবে অনেক সময় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি যায়, যেখানে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। এই পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নোটিস পিরিয়ডে থাকতে হয় কর্মীদের। তবে অনেকেই এই নোটিস পিরিয়ড দেন না। এই কাজটিও সম্পূর্ণ অনুচিত। কারণ যে সংস্থার চাকরি ছাড়ছেন আপনি, তারা চাইলেই আপনার বিরুদ্ধে সংস্থার চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে মামলা করতে পারে।
কী এই নোটিস পিরিয়ড?
আপনি যেদিন ইস্তফা দেবেন, সেইদিন থেকে সংস্থায় কাজ করার শেষদিন অবধি যে সময়সীমা হয়, তাকেই নোটিস পিরিয়ড বলে। এই সময়টি নেওয়া হয় যাতে আপনার পরিবর্তে অন্য কাউকে সেই পদে নিয়োগ করা যায়। আপনার পরিবর্তে যে প্রার্থীকে নিয়োগ করা হবে, তাঁকে খোঁজার জন্যই এই সময় নেওয়া হয়। তবে অনেক সংস্থায় ইস্তফা দেওয়ার দিনই কর্মীকে যাবতীয় চুক্তি ও দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, কোনও কর্মী যদি এমন কিছু করেন, যা নীতিবিরুদ্ধ, সেক্ষেত্রেও আপনাকে কাজ থেকে বিতাড়িত করতে পারে সংস্থা।
সাধারণত নোটিস পিরিয়ডের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে না। কোনও সংস্থায় দুই সপ্তাহ নোটিস দিতে হয়, কোথাও আবার দুই মাস। যখন আপনি চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন, সেই সময় যে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করছেন, তাতেই লেখা থাকে চাকরি ছাড়ার ক্ষেত্রে কতদিন নোটিস দিতে হয়।
যদি আপনি এক মাস বা তার কম সময়ের জন্য কোনও সংস্থায় কাজ করেন, তবে আপনার নোটিস পিরিয়ড দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।