নয়া দিল্লি: বর্তমানে প্রতিযোগিতার বাজারে সাফল্য অর্জন করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। পকেটে শুধু স্নাতকের ডিগ্রি থাকলেই চলে না, প্রয়োজন উচ্চশিক্ষারও। অনেকের ইচ্ছা থাকলেও, তা সম্ভব হয় না আর্থিক অনটনের জন্য। সেক্ষেত্রে অনেককেই পড়াশোনায় ইতি টানতে হয়। আর যারা সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নন, তারা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েই উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। তবে এডুকেশন লোন বা শিক্ষার জন্য ঋণ নেন, পড়াশোনা শেষের পর তারা অনেকেই অভিযোগ করেন যে ঋণের বোঝা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কর্মক্ষেত্রে পা রেখে তারা যখন ঋণ পরিশোধ শুরু করেন, তখন ঋণের অঙ্ক প্রায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ হয়ে যায়। আপনিও যদি এডুকেশন লোন নেওয়ার চিন্তাভাবনা করেন, তবে কীভাবে সহজেই ঋণ পরিশোধ করবেন, তার কয়েকটি সহজ উপায় জেনে নিন-
১. কঠোর পরিশ্রম- উচ্চশিক্ষার জন্য আপনি যদি এডুকেশন লোন নিতে চান। তবে কঠোর পরিশ্রম অত্য়ন্ত জরুরি। ছাত্রাবস্থায় আপনার পরীক্ষার ফলাফল যত ভাল হবে, ততই ঋণের ক্ষেত্রে আপনার সুবিধা হবে। একদিকে যেমন সহজেই ঋণ পাবেন, তেমনই আবার বিভিন্ন স্কলারশিপ বা বৃত্তির সুযোগও পাবেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে, যার সাহায্যে ঋণের বোঝা বেশ কিছুটা কমবে।পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম-দ্বাদশ শ্রেণি ও পরবর্তী ক্ষেত্রে স্নাতক স্তরের ফলাফলও দেখা হয় ঋণ মঞ্জুর করার আগে।
২. বর্তমানে অধিকাংশ সংস্থাই ডিগ্রিধারীদের পাশাপাশি যাদের পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন ব্যক্তিদেরই কর্মী হিসাবে নিয়োগ করতে পছন্দ করেন। কারণ এতে তাদের কর্মীদের নতুন করে কাজ শেখানোর জন্য অতিরিক্ত সময় বা কর্মক্ষমতা ব্যয় করতে হয় না। এই কারণেই কলেজ জীবন থেকেই পার্ট টাইমে কাজ শুরু করা উচিত। যে ক্ষেত্রে আপনি কাজ করতে চান, সেই সংক্রান্ত কোনও সংস্থা থেকে ইন্টার্নশিপ বা পার্ট টাইমে কাজ করার অভিজ্ঞতা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য করে। আর যত তাড়াতাড়ি চাকরি পাবেন, ততই ঋণ পরিশোধেও সুবিধা হবে।
৩. ঋণ নেওয়ার আগে ভাল করে রিসার্চ করা প্রয়োজন। কী কারণে আপনি ঋণ নিতে চান, ঋণ নেওয়া কতটা জরুরি, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য আপনি ঋণ নিচ্ছেন, সেখানে স্কলারশিপ বা বৃত্তির সুবিধা রয়েছে কিনা, থাকলে কীভাবে আপনি তা পেতে পারেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিন। আপনি যদি স্কলারশিপ পান, তবে ঋণের ক্ষেত্রেও আপনি বিশেষ সুবিধা পাবেন।