Investment Scheme: শুধু সুদ বাবদই মাসে পাবেন ২০ হাজার টাকা! এই দুর্দান্ত স্কিম জেনে রাখুন
Post Office Scheme: এই স্কিমে আবার আয়করে ছাড়ও পাওয়া যায়। আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। ৬০ বছর বয়সী বা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। সিঙ্গল বা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।

নয়া দিল্লি: ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে অল্প বয়স থেকেই টাকা সঞ্চয় করা দরকার। তবে অনেকে বেশি বয়সে এসেও টাকা জমান। এমনই এক স্কিমের খোঁজ দেব আজ, যাতে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করবেন। অবসরের পর আর্থিক দোটানাতেও পড়তে হবে না। মাসে মাসে আয় হবে সেভিং স্কিম থেকে।
পোস্ট অফিসের একাধিক জনপ্রিয় স্কিম রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন স্কিম (Post Office Senior Citizen Scheme)। এতে বিনিয়োগ করে মাসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে বার্ষিক ৮.২ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়, যা বাকি একাধিক ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি।
এই স্কিমে আবার আয়করে ছাড়ও পাওয়া যায়। আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। ৬০ বছর বয়সী বা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। সিঙ্গল বা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। আবার যারা ৫৫ বছর বয়সী থেকে ৬০ বছর বয়সী এবং সরকারি চাকরি থেকে ভিআরএস নিয়েছেন, তারাও এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
কীভাবে মাসে ২০ হাজার টাকা পাবেন?
ধরুন, কোনও প্রবীণ ব্যক্তি এককালীন ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ৮.২ শতাংশ সুদের হারে ওই ৩০ লক্ষ টাকায় সুদ পাবেন ২.৪৬ লক্ষ টাকা। এই আয় যদি মাসিক হিসাবে ভাগ করা হয়, তাহলে মাসে আপনার আয় হবে ২০ হাজার ৫০০ টাকা।
পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। নিকটবর্তী পোস্ট অফিসের ব্রাঞ্চে গিয়ে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এই অ্যাকাউন্ট মেয়াদ পূরণ করার আগে বন্ধ করে দেওয়া যায়। তবে বিনিয়োগের এক বছর না হওয়ার আগেই যদি কেউ এই স্কিম বন্ধ করে দেন, তাহলে কোনও সুদ পাবেন না বিনিয়োগের উপরে।
যদি এক থেকে ২ বছরের মধ্যে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন, তাহলে সুদ সহ মোট মূল্য থেকে ১.৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। ২ থেকে ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে যদি বিনিয়োগ তুলে নেওয়া হয়, তাহলে মোট মূল্যের ১ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে।
