EPFO: ১০ বছর চাকরি না করলে মার যাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা! এই নিয়ম অনেকেই জানেন না…
EPFO Rules: অবসরের পর এই স্কিম থেকে মাসে মাসে পেনশন পাওয়া যায়। তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই ২০-৩০ বছর চাকরি করেন না। ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করেন না। তার আগেই অবসর নিয়ে নেন। যদি কেউ ১০-১২ বছর কাজ করার পর চাকরি ছেড়ে দেন, তাহলে তারা কি পেনশন পাবেন?

নয়া দিল্লি: চাকরিজীবীদের জন্য ইপিএফ বা প্রভিডেন্ট ফান্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন রাখে না। ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের অন্যতম ভরসা হল প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা হওয়া অর্থ। প্রতি মাসে বেতন থেকে একটা নির্দিষ্ট অঙ্ক কেটে নেওয়া হয় প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করার জন্য। অবসরের পর পেনশন পাওয়া যায় পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে অনেকেই অবসর অবধি অপেক্ষা করেন না, তার আগেই চাকরি ছেড়ে দেন। সেক্ষেত্রে কি তারা প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পাওয়া যায়? কত বছর চাকরি করলে পেনশন পাওয়া যায় ইপিএফ থেকে?
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের একটা অংশ হল এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম। অবসরের পর এই স্কিম থেকে মাসে মাসে পেনশন পাওয়া যায়। তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই ২০-৩০ বছর চাকরি করেন না। ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করেন না। তার আগেই অবসর নিয়ে নেন। যদি কেউ ১০-১২ বছর কাজ করার পর চাকরি ছেড়ে দেন, তাহলে তারা কি পেনশন পাবেন?
ইপিএফও-র নিয়ম অনুযায়ী, পিএফে পেনশন পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০ বছর চাকরি করতে হয়। যদি তার কম সময় কেউ চাকরি করেন, তাহলে পেনশন পাবেন না। তবে এর অর্থ এই নয় যে ১০ বছর পূরণ হয়ে গেলেই আপনি পেনশন পাওয়া শুরু করবেন। এর অর্থ হল, ভবিষ্যতে আপনি যখনই অবসর নেবেন, তখন এই পেনশন পাবেন।
৫৮ বছর বয়স হয়ে গেলে পেনশনের জন্য আবেদন করা যায়। কেউ যদি তার আগেই চাকরি ছেড়ে দেন, তাহলেও ৫৮ বছরের পরই পেনশন পাবেন। অর্থাৎ কেউ যদি ১০ বছর চাকরি করার পর ৩৫ বা ৪০ বছর বয়সে চাকরি ছেড়ে দেন, তাহলে ৫৮ বছরের পরই পেনশন পাবেন।
কর্মীদের বেতনের ১২ শতাংশ ইপিএফে জমা পড়ে মাসে মাসে। যে সংস্থায় কাজ করেন, তাদের তরফেও একই শতাংশ টাকা জমা করা হয়। এই অনুদানের ৮.৩৩ শতাংশ প্রতি মাসে জমা পড়ে এমপ্লয়ি পেনশন স্কিমে। বাকি ৩.৬৭ শতাংশ জমা পড়ে মূল ইপিএফ অ্যাকাউন্টে। ইপিএফের মূল অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা তোলা যায় প্রয়োজনে।
