RBI MPC Meet: নতুন বছরে বাড়বে না EMI-র চাপ, ষষ্ঠবারও রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল RBI

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Feb 08, 2024 | 12:27 PM

Repo Rate: এ দিন মনিটারি পলিসির কমিটির বৈঠকের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ জানান, আর্থিক প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিও ৪ শতাংশের উপরে থাকবে। 

RBI MPC Meet: নতুন বছরে বাড়বে না EMI-র চাপ, ষষ্ঠবারও রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল RBI
ফাইল চিত্র
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: নতুন বছরের গোড়াতেই সুখবর। আপাতত বাড়ছে না ঋণের বোঝা। এমনটাই ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে রেপো রেট (Repo Rate) ৬.৫ শতাংশেই অপরিবর্তিত রাখা হল। মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতেই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ (Shaktikanta Das))। রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকায় বাড়বে না ঋণ ও ইএমআই-র বোঝা। এই নিয়ে একটানা ছয়বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই।

প্রতি ত্রৈমাসিকেই বৈঠকে বসে মনিটারি পলিসি কমিটি। এই কমিটির বৈঠকেই রেপো রেট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবারের বৈঠকেও রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মনিটারি পলিসি কমিটির ৬ সদস্যের মধ্যে ৫ জনই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ভোট দেন।

এ দিন মনিটারি পলিসির কমিটির বৈঠকের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ জানান, আর্থিক প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিও ৪ শতাংশের উপরে থাকবে।

প্রসঙ্গত, যে সুদের হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্য়ান্য ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নেয়, তাকে রেপো রেট বলে। অন্যদিকে, যে হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্য ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নেয়, তাকে রিভার্স রেপো রেট বলে।

পরপর টানা ছয়বার মনিটারি পলিসি রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল। এর আগে ২০২২ সালেক মে মাসে এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট ২৫০ বেসিস বৃদ্ধি করেছিল।

শক্তিকান্ত দাশ বলেন, “২০২৪ সালেও আর্থিক প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের গতি ধীর থাকলেও, এর দ্রুত উন্নতি হচ্ছে এবং ২০২৪ সালে আর্থিক প্রবৃদ্ধি আরও দ্রুত হবে। বিভিন্ন বড় বড় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার কমানোয় অর্থনৈতিক বাজারে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।”

Next Article