Salary Due: বেতন দিতে দেরি করছে আপনার সংস্থা! কীভাবে নিজের অধিকার বুঝে নেবেন আপনি?
Is Your Company Delaying Salary: অনেক সময় দেখা যায়, বেসরকারি সংস্থা বা স্টার্টআপগুলো বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কর্মীদের বেতন আটকে রাখে। কর্মীরাও লোকসানের ভয়ে চুপচাপ কোম্পানির সেই আচরণ সহ্য করেন। মনে রাখবেন, বেতন দিতে দেরি করা কিন্তু একটি গুরুতর আইনি অপরাধ।

চাকরিজীবী কোনও মানুষকে আপনি যদি বলেন, সবচয়ে আনন্দের মুহূর্ত কোনটা? বেশিরভাগ মানুষই হয়তও বলবে ওই মাসের ১ তারিখ, যখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্যালারি ঢোকে। কারণ, এটা শুধুমাত্র কয়েকটা টাকা নয়। এটা চাকরিজীবীদের গোটা মাসের পরিশ্রমের বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ।
অনেক সময় দেখা যায়, বেসরকারি সংস্থা বা স্টার্টআপগুলো বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কর্মীদের বেতন আটকে রাখে। কর্মীরাও লোকসানের ভয়ে চুপচাপ কোম্পানির সেই আচরণ সহ্য করেন। মনে রাখবেন, বেতন দিতে দেরি করা কিন্তু একটি গুরুতর আইনি অপরাধ। আপনার সঙ্গে এমন যদি হয়, তাহলে কীভাবে এই পরিস্থিতি সামলাবেন?
কী বলছে ১৯৩৬ সালের শ্রম আইন?
দেশের শ্রম আইন সুস্পষ্টভাবে বলছে, প্রতিটি কর্মীকে মাসের কাজ শেষ হওয়ার ৭ দিনের মধ্যেই তাঁর বেতন দিতে হবে। ছোট সংস্থা অর্থাৎ, যে সব সংস্থায় কর্মীর সংখ্যা ১০০০-এর কম, সেখানেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। ইচ্ছাকৃতভাবে এই সময়সীমা পার করলে তা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।
দেরির শাস্তি কী হতে পারে?
বেতন দেওয়া নিয়োগকর্তার আইনি কর্তব্য। এটা কর্মচারীর প্রতি সংস্থার কোনও দয়া বা অনুগ্রহ নয়। কোনও সংস্থা যদি বেতন দিতে দেরি করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার। Payment of Wages Act অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃতভাবে বেতন আটকে রাখলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার জরিমানা এবং এমনকি নিয়োগকর্তার কারাবাসও হতে পারে।
আপনার পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত?
যদি আপনার বেতন পেতে দেরি হয়, প্রথম কাজ হল সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা। সেখান থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে, অবিলম্বে শ্রম দফতরের হেল্পলাইন ১৫৫২১৪-তে ফোন করা উচিত। সেখানে আপনি কোম্পানির তথ্য দিয়ে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারেন। এছাড়া, আপনি বিনামূল্যে শ্রম আদালতে গিয়েও মামলা করতে পারেন। যার জন্য আপনার কাজের উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
চাকরিজীবীদের বেতন যদি আটকে যায় তবে তাদের উপর আর্থিক ও মানসিক চাপ তৈরি হয়। কারণ, প্রত্যেক চাকরিজীবীর খরচখরচা তাঁর বেতনের উপর নির্ভর করে। ফলে, বেতনে বিলম্ব হলে, তার বিরুদ্ধে মুখ খোলা আজ সময়ের দাবি। আর ভারতের আইন আপনার পক্ষে। আইন অনুযায়ী সঠিক সময়ে আপনার প্রাপ্য বুঝে নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার আপনার রয়েছে।
