Organic Farming: মাসিক ২ লক্ষ বেতন, বিদেশের চাকরি ছেড়ে এই ইঞ্জিনিয়ার এখন চাষ করেই কোটি টাকা কামাচ্ছেন!

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Apr 23, 2023 | 8:38 AM

Financial Tips: সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক ডিগ্রি পাওয়ার পর দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মালয়শিয়ার একটি তথ্য় প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। তাঁর মাসিক বেতন ছিল ২ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই চাকরিতে কিছুতেই মন টিকত না তাঁর।

Organic Farming: মাসিক ২ লক্ষ বেতন, বিদেশের চাকরি ছেড়ে এই ইঞ্জিনিয়ার এখন চাষ করেই কোটি টাকা কামাচ্ছেন!
সত্য প্রবীণ। ছবি সোশ্যাল মিডিয়া।

Follow Us

ভুবনেশ্বর: পকেটে রয়েছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি। দেশে নয়, বিদেশের নামী তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় পেয়েছিলেন চাকরি। মোটা টাকার বেতন হলেও, মন টিকত না ৯টা-৫টার ওই চাকরিতে। ছোট থেকে বাবাকে দেখেছেন চাষাবাদ করতে, সেখান থেকেই তৈরি হয়েছিল চাষের প্রতি আগ্রহ। সেই কারণেই মালয়শিয়ার আইটি সংস্থার চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন সত্য প্রবীণ। ওড়িশার রায়গড় জেলার বাসিন্দা সত্য প্রবীণ দেশে ফিরে সিদ্ধান্ত নেন, বাবার দেখানো পথেই তিনিও চাষাবাদই করবেন। তবে তাঁর পদ্ধতি হবে একটু আলাদা। আধুনিক পদ্ধতিতে ড্রিপ সিস্টেম ও জৈবিক সার ব্যবহার করে তিনি ৩৪ একর জমির উপরে চাষ শুরু করেন। সেই চাষের পদ্ধতি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে, দেশ-বিদেশ থেকে কৃষকেরা সত্য প্রবীণের কাছে চাষের পদ্ধতি শিখতে আসেন।

ওড়িশার বাসিন্দা সত্য প্রবীণ জানিয়েছেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক ডিগ্রি পাওয়ার পর দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মালয়শিয়ার একটি তথ্য় প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। তাঁর মাসিক বেতন ছিল ২ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই চাকরিতে কিছুতেই মন টিকত না তাঁর। শেষে ২০২০ সালে জীবনের অন্যতম বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন সত্য প্রবীণ। চাকরি ছেড়ে ফিরে আসেন গ্রামে। সেখানেই বাবার চাষের জমিতে বিভিন্ন সবজির চাষ শুরু করেন।

সত্য়ের চাষের পদ্ধতি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে বর্তমানে তাঁর  ও আশেপাশের গ্রাম মিলিয়ে ৬০ জন তাঁর ক্ষেতে চাষ করেন। বর্তমানে ভেষজ বা জৈবিক ফলনের যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে, তার ফলে সত্য় প্রবীণের জমিতে উৎপাদিত ফসলের জনপ্রিয়তা ও বিক্রিও ফুলে-ফেঁপে ওঠে।

Next Article