নিউ ইয়র্ক: ঘড়ির সংস্থা রোলেক্সের নাম অনেকেই শুনেছেন। দামি তো বটেই তবে, ঘড়ির উচ্চমানের জন্য়ও এটি বিখ্যাত। বিশ্বব্যাপী এর পরিচিতি রয়েছে। এই সংস্থার সবথেকে সস্তা ঘড়িটির দাম হয় ৬ থেকে ১১ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪.৯৮ লক্ষ টাকার বেশি। তবে সবথেকে মজাদার বিষয় হল, রোলেক্সের নতুন ঘড়ি নয়, পুরানো ঘড়ির দামও অনেক বেশি। অনেক ক্ষেত্রে নতুন ঘড়ির থেকেও পুরনো ঘড়ির দাম বেশি। সম্ভবত রোলেক্সই একমাত্র সংস্থা যাদের ঘড়ির দাম কখনও কমে না।
কিন্তু ব্যবহার করা রোলেক্স ঘড়ি নতুন রোলেক্সের থেকে বেশি দামে বিক্রি হয় কেন? মূল কারণ হল চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে ভারসাম্য নেই। মানুষের মধ্যে রোলেক্সের চাহিদা বেড়েছে দিনে দিনে। কিন্তু রোলেক্স সংস্থা সেই চাহিদা সফলভাবে পূরণ করতে পারছে না। তাই মানুষ সেকেন্ড হ্যান্ড ঘড়ি কেনার দিকে ঝুঁকছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রোলেক্স যাঁরা কিনছেন, তাঁদের মধ্যে ২৯ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন যে তাঁরা সেকেন্ডারি মার্কেটে রোলেক্স বেশি দামে কিনেছেন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ বলছেন যে তাঁরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে চান না, তাই বেশি দামে ব্যবহার করা ঘড়ি কিনে নিচ্ছেন। ২০২১ সালে ব্যবহার করা ঘড়ির বিক্রির অঙ্ক প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।
এছাড়া একটি রোলেক্সের বয়স যদি ৩০ থেকে ৪০ বছর হয় তাহলে এটি ভিনটেজ হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও এমন অনেক রোলেক্স ঘড়ি রয়েছে, যেগুলির উৎপাদন এখন সংস্থাটি বন্ধ করে দিয়েছে। সেগুলির কিছু বিশেষত্ব ছিল। যেমন কোনও সই, রঙ, বিশেষ সংস্করণ, সীমিত সংস্করণ- এমন কিছু ছিল যা ওই ঘড়িগুলিকে বিরল হিসেবে চিহ্নিত করে। ফলে পুরনো রোলেক্স নতুনের চেয়ে বেশি দামি হয়। ক্রেতারা সাধারণত রোলেক্সকে ব্যায় হিসেবে নয় একটি বিনিয়োগ হিসেবে দেখে।