নয়া দিল্লি: রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলে গিয়েছিলেন ‘টাকা মাটি, মাটি টাকা’। ঠাকুরের কাছে টাকার কোনও গুরুত্ব না থাকলেও এই গোটা দুনিয়া টাকার পিছনেই ছুটছে। খুঁজলে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না, যার টাকার প্রয়োজন নেই। তাই ধনকুবেরদের নিয়ে মানুষের আগ্রহের সীমা নেই। ভারতে ধনকুবের বলতে সবার প্রথমেই যার কথা মাথায় আসে তিনি রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানী (Mukesh Ambani)। আরও একজন শিল্পপতির কথা অবশ্যই মাথায় আসে, তিনি আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এই দুই শিল্পপতির ধনসম্পদ বিগত কয়েক বছরে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের সম্পত্তি এতটাই বেড়ছে যে বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকাতেও এই দুই ভারতীয় শিল্পপতি জায়গা করে নিয়েছিলেন। সম্প্রতি বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস ম্যাগাজিন (Forbes Magazine)। সেই তালিকায় কত নম্বরে আছেন এই দুই ভারতীয় শিল্পপতি?
ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী রিলায়েন্স ইন্ডাসট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানী বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় ১০ নম্বর স্থানে রয়েছেন। আদানি গ্রুপের গৌতম আদানিও মুকেশে থেকে খুব পিছনে নেই। ধনীদের তালিকায় তিনি রয়েছেন মুকেশের ঠিক পরে, অর্থাৎ ১১ নম্বর স্থানে। ফোর্বসের প্রকাশিত তালিকায় অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছেন স্পেস এক্স ও টেসলার সিইও এলন মাস্ক। ফোর্বসের ৩৬ তম ধনীদের তালিকায় বিশ্বব্যাপি মোট ২ হাজার ৬৬৮ জন ধনকুবেরের নাম রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এই বিখ্যাত ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ধনকুবেরদের সম্পদে করোনা অতিমারি ও যুদ্ধ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
জানা গিয়েছে, ফোর্বসের তালিকায় ২৩৬ জন নতুন ধনকুবের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। অদ্ভূতভাবে এই তালিকায় রাশিয়া ও চিনা ধনকুবেরের সংখ্যা কমেছে। তালিকায় গতবারের তুলনায় রাশিয়ায় ধনকুবেরে সংখ্যা ৩৪ জন কমেছে। এর পিছনে ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসী নীতিই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। চিনা ধনকুবেরের সংখ্যাও গতবারের তুলনায় ৮৭ জন কমেছে। ফোর্বস জানিয়েছে, সেরা প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে চিনা সরকারের সম্পর্কছেদের ফলেই চিনা ধনকুবেদের সংখ্যা কমেছে।