নয়া দিল্লি: দেশের বেশির ভাগ বিনিয়োগের স্কিম মূলত কম বয়সীদের জন্য। কম বয়স থেকে বিনিয়োগ করতে শুরু করলে একটা সময়ের পর মোটা টাকা ফেরত পাওয়া যায়। সাধারণত প্রত্যেকেই অবসর পরবর্তী জীবনের জন্য এই ধরনের বিনিয়োগগুলি করে থাকেন। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন একটি স্কিম রয়েছে যা শুধুমাত্র বয়স্কদের জন্য। খুব অল্প সময়েই সেই স্কিম ম্যাচিওর হয়ে টাকা পাওয়া যায়। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম বা এসসিএসএস হল এরকমই একটি স্কিম।
মূলত পোস্ট অফিস বা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এই সব স্কিমের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই স্কিমে বিনিয়োগের ওপর ৭.৪ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের যে সব স্কিম রয়েছে তার মধ্যে এতেই সর্বাধিক সুদ দেওয়া হয়। ৩১ মার্চ, ৩১ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বরে দেওয়া হয় সুদ। কোনও ব্যাঙ্কে বা পোস্ট অফিস থেকে ওই সুদের টাকা তুলে নেওয়া যায়। আপনার অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট দিনে ঢুকে যাবে ওই টাকা।
এটি মূলত বয়স্কদের জন্য একটা স্কিম, তাই এই স্কিমের জন্য আবেদন করা যায় কেবলমাত্র ৬০ বছরের ওপরে। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এরও ব্যতিক্রম রয়েছে। যে সব চাকরিতে অবসরের বয়স ৫৫ বছর, সে ক্ষেত্রে ৫৫ বছরের পরেই আবেদন করা যায়। আবার প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ৫০ বছরেই অবসর নিতে হয়, সেই সব কর্মীরাও বিনিয়োগ করতে পারেন। বিনিয়োগের জন্য নিজস্ব অ্যাকাউন্ট বা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন। কেউ যদি ৬০ বছরের আগেই বিনিয়োগ করতে চান সে ক্ষেত্রে বাবা বা মায়ের নামে পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে।
বিনিয়োগ করার পাঁচ বছর পর যদি স্কিম ম্যাচিওর হয়ে যায় তাহলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া চাইলে ম্যাচিওর হওয়ার পর তিন বছর পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট খোলা রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া ওই পাঁচ বছরের মধ্যে যদি বিনিয়োগকারীর মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টের হারে সুদ দেওয়া হবে।