বেঙ্গালুরু: ডিসেম্বর পড়ে গিয়েছে, সামনেই নববর্ষ। দম্পতির পরিকল্পনা ছিল নতুন বছরের সূচনা করবেন বিদেশে গিয়ে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই কেটেছিলেন ভিয়েতনামে যাওয়ার বিমানের টিকিট। কিন্তু বিমানবন্দরে আসতেই তাদের জানানো হল ফ্লাইট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কারণ জানতে চাইলে বিমানবন্দরের তরফে যা উত্তর এল, তাতে আকাশ থেকে পড়লেন ওই দম্পতি। জানতে পারলেন, যে উড়ান সংস্থার টিকিট কেটেছিলেন তারা, সেই সংস্থার কোনও বিমানই চলে না তাদের শহর থেকে।
ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। সেখানের এক দম্পতিই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভিয়েতনাম যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। অনলাইনে যখন ফ্লাইটের টিকিট কাটতে যান, দেখেন সবথেকে কম খরচে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে ভিয়েতজেট এয়ারে। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান ধরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু বিমানবন্দরে যাওয়ার পর তারা জানতে পারেন, টিকিট বাতিল করা হয়েছে। কারণ যে রুটের টিকিট কেটেছেন তারা, তার আদৌই অস্তিত্বই নেই।
কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ান মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বেঙ্গালুরু থেকে ভিয়েতনাম যাওয়ার সরাসরি কোনও বিমান নেই। কেবল মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই সহ ১৮টি শহর থেকে ভিয়েতনামের বিমান চলাচল করে। এদিকে ওই সংস্থার তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বেঙ্গালুরু থেকেও চলে ভিয়েতনামের বিমান। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই টিকিট কাটেন ওই দম্পতি।
শুধু ওই দম্পতিই নয়, একাধিক যাত্রী এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ফ্লাইটের টিকিটে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে, এমনই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সেই দেখে যারাই টিকিট কেটেছেন, তারাই প্রতারিত হয়েছেন। ওই উড়ানসংস্থার কাছ থেকে রিফান্ড চাওয়া হলেও, কোনও জবাব মেলেনি।
বেঙ্গালুরুর এক ট্রাভেল ব্লগার জানান, তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনাম যাওয়ার টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু গত অক্টোবরেই তিনি জানতে পারেন যে তাদের টিকিট বাতিল হয়ে যেতে পারে। এরপরই তিনি রিফান্ডের আবেদন করেন। কিন্তু উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়, তিনি চাইলে মুম্বই থেকে ভিয়েতনামের বিমান ধরতে পারেন। তবে ওই ব্লগার আর ঝুঁকি নিতে চাননি। বর্তমানে ৪৮ হাজার টাকা রিফান্ড পাওয়া বাকি ওই ব্লগারের।
অপর এক ব্যবসায়ীও ৩০ হাজার টাকা দিয়ে হায়দরাবাদ থেকে ভিয়েতনাম ও সেখান থেকে বেঙ্গালুরু ফেরার টিকিট কেটেছিলেন। পরে তিনি জানতে পারেন, ভিয়েতজেট এয়ার বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদ- কোনও শহর থেকেই চলাচল করে না।