নয়া দিল্লি: বর্তমান সময়ে আর্থিক সঞ্চয়ের জন্য বিনিয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি। আগে বিনিয়োগ বলতে সকলে ফিক্সড ডিপোজিটের কথাই বুঝতেন। কিন্তু সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগের ধারণাও বদলেছে। যুব প্রজন্ম এখন ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি-তে ভরসা রাখছেন। দীর্ঘকালীন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা অপশন এসআইপি। তবে এ কথাও মনে রাখা জরুরি যে বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কোথাও অর্থ বিনিয়োগের আগে কিছু বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকা জরুরি। আপনিও যদি এসআইপি-তে টাকা রাখতে চান, তবে এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখুন।
১. পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব- যে কোনও ক্ষেত্রেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, সেই বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। এসআইপি-র ক্ষেত্রেও এই ভুল করেন অনেকে। পর্যাপ্ত রিসার্চ না করেই বিনিয়োগ করে ফেলেন অনেকে। আপনি কোন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করছেন, তার সম্পর্কে আগে তথ্য জানা দরকার। যে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করছেন, তা আগে কত রিটার্ন দিয়েছে, বিনিয়োগ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানা দরকার।
২. আর্থিক প্ল্যানিং– বিনিয়োগ করার আগে নিজের আর্থিক পরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার। আপনার আয়ের উপর নির্ভর করে কত টাকা আপনি খরচ করবেন, কত টাকা বিনিয়োগ করবেন, তা জানা জরুরি। আপনি কীসের জন্য অর্থ সঞ্চয় করছেন অর্থাৎ অবসরকালীন ফান্ড, সন্তানের শিক্ষা নাকি বাড়ির জন্য ডাউন পেমেন্ট করতে বিনিয়োগ করছেন, তা স্থির করে সেই অনুযায়ী অর্থ বিনিয়োগ করুন।
৩. মার্কেটের সময়– কোন সময়ে বিনিয়োগ করছেন, তা জানা অত্যন্ত জরুরি। নির্দিষ্ট একটা সময়ে বাজার খারাপ চললেই বিনিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া ভুল।
৪. বিনিয়োগের অঙ্ক- আপনি কত টাকা এসআইপি-তে বিনিয়োগ করছেন, তার উপরও নির্ভর করে আপনি বিনিয়োগে কতটা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন, তা নির্ভর করে। যদি আপনি খুব সামান্য অর্থ বিনিয়োগ করেন, তলে আপনার সঞ্চয় লক্ষ্য়মাত্রায় পৌঁছতে অনেকটাই বেশি সময় লাগবে। আবার আপনি যদি একসঙ্গে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেন, তবে প্রয়োজনের সময় আপনার হাতে পর্যাপ্ত অর্থের অভাব হতে পারে।
৫. বিভাজন– এসআইপি বিনিয়োগে ঝুঁকি এড়াতে ফান্ড বিভাজন অত্য়ন্ত জরুরি। সহজ কথায় বলতে গেলে, এক জায়গায় টাকা না রেখে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা শ্রেয়। তবে অতিরিক্ত বিভাজনের ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে।তাতে ভাল পারফর্ম করা ফান্ড থেকেও আপনার রিটার্ন কম আসবে অল্প পরিমাণ বিনিয়োগের কারণে। তাই বিনিয়োগ খাতে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
৬. পর্যালোচনা ও পরিবর্তন– এসআইপি দীর্ঘকালীন বিনিয়োগ প্রকল্প হলেও, নিয়মিত এই বিনিয়োগ প্রকল্পের পর্যালোচনা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ফান্ডে পরিবর্তন করা জরুরি। বাজারের অবস্থা বুঝে এসআইপি-র বিনিয়োগেও পরিবর্তন করা যেতে পারে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করার জন্য।