কলকাতা: নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পাশাপাশি বর্তমানে নতুন করে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে(Investing in the Stock Market) ঝুঁকছেন বহু মানুষ। কিন্তু, কোন সংস্থার শেয়ার কিনলে সহজে দেখা যাবে লাভের মুখ? কীভাবে এড়ানো যাবে ক্ষতির সম্ভাবনা? এই প্রশ্ন উুঁকি দেয় সবার মনে। যাঁরা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন তাঁর অনেকেই মার্কিন ধুনকুবের ওয়ারেন বাফেটের (Warren Buffett) নাম শুনছেন। কারণ তাঁর পরামর্শ মেনে বিনোয়োগ করে লাভবান হয়েছেন বহু মানুষ। দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের রাস্তায় হেঁটে কীভাবে লক্ষ্মী লাভ করা যায় সেই বিষয়ে বরাবরই নানা দিশা দেখিয়েছেন বাফেট। এমনকী সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ করেও যে ক্ষতি এড়িয়ে উল্টে লাভ করা যায়, তাও দেখিয়েছেন তিনি। এমনকী শেয়ার মার্কেটে যখন বড়সড় পতন দেখতে পাওয়া গিয়েছে, তখনই বড় বিনিয়োগ করেছেন তিনি। তাঁর সাফ দাবি, এই সময়ে ভালো ভালো সংস্থার শেয়ার অনেক কম দামে পাওয়া সম্ভব। যা পরবর্তীকালে ভালো লাভ এনে দিতে পারেন আপনার ঘরে।
অন্যদিকে ‘পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিংয়ের’ বা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের উপরে বিশেষ করে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশ্বখ্যাত ধনকুবের। কারণ ধৈর্য্য ধরে এই রাস্তায় বিনিয়োগ করলে অচিরেই বড় অর্থরাশির মালিক হওয়া যায়। ধরা যাক আপনি ২০ বছর প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন। সুদের হার গড়ে ১৫ শতাংশ। সেই ক্ষেত্রে আপনার মূলধন থাকবে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। যা ২০ বছরে চক্রবৃদ্ধি সুদের হারে হয়ে যাবে ২৯ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৭৯ টাকা। কিন্তু ২০ বছরের জায়গায় যদি আপনি আরও ৫ বছর বেশি বিনিয়োগ করেন, অর্থাৎ ২৫ বছর একই ভাবে বিনিয়োগ করার পর আপনার প্রাপ্ত অর্থরাশির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬৪ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকারও বেশি। এরপরও যদি আপনি আরও ৫ বছর অপেক্ষা করে যান তাহলে ৩০ বছরে আপনার মোট প্রাপ্ত অর্থরাশির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৪৬ হাজারেরও বেশি। ৩৫ বছর ধরে আপনি যদি এই বিনিয়োগ জারি রাখেন এবং সুদের হার যদি ১৭ শতাংশ হয়, তবে প্রাপ্ত অর্থরাশির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৫ কোটির গণ্ডি। যাঁরা কম বয়সে বিনিয়োগ শুরু করেন তাঁরা এই ক্ষেত্রে সহজেই লাভবান হতে পারেন।
কিন্তু এই বড় মাপের রিটার্ন পাওয়ার জন্য কীভাবে বাছাই করা যাবে সঠিক সংস্থা? তারও দিশা দেখিয়েছেন ওয়ারেন বাফেট। এই ক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ যে সংস্থার প্রতি বিনিয়োগকারী সবথেকে বেশি আস্থা রয়েছে, কোম্পানির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা রয়েছে সেই সংস্থাতেই সবার আগে বিনিয়োগ করা উচিৎ। এমনকী কোনও দেশের অর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে যে সংস্থার স্থায়িত্ব দীর্ঘ মেয়াদী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে বিনোয়োগের পর চক্রবৃদ্ধি সুদের হারে বিনিয়োগের চিন্তা করা উচিৎ বলে তাঁর মত।
আরও পড়ুন- লোন গ্যারান্টার হলে অবশ্যই খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলি, অন্যথায় পড়তে পারেন বড়সড় সমস্যায়