মুম্বই: মহা ফ্যাসাদে পড়েছে পেটিএম। সময় ঘনিয়ে আসছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বর্ধিত ডেডলাইন রয়েছে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। তারপর থেকে আর পেটিএম-এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। এমন অবস্থায় এবার বিকল্প পথ খুঁজছে পেটিএম। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ইউপিআই পরিষেবা চালু রাখার জন্য চারটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে পার্টনার হতে চাইছে পেটিএম। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও ইয়েস ব্যাঙ্ক – এই চারটি ব্যাঙ্কের সাহায্য নিয়ে ইউপিআই পরিষেবা চালাতে চাইছে পেটিএম। ঘটনার গতিবিধি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল দু’টি সূত্র সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে একথা জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পেটিএমের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের উপর কড়াকড়ি জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রথমে বলা হয়েছিল, ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পেটিএম-এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। পরে সেই ডেডলাইন বাড়িয়ে ১৫ মার্চ পর্যন্ত করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এমন অবস্থায় এবার ইউপিআই পরিষেবা নিয়ে বিকল্প চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে পেটিএম।
ইউপিআই হল ভারতের রিয়েল টাইম ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা। যা নিয়ন্ত্রণ করে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই (NPCI)। ইউপিআই সিস্টেমের মাধ্যমে খুব সহজেই এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে টাকা লেনদেন করা যায়। পেটিএম-এর তরফে ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে, যাতে তারা থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন প্রোভাইডার হিসেবে চার-পাঁচটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে কাজ করতে পারে। গত সপ্তাহেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এনপিসিআই-কে বলা হয়েছিল, পেটিএম-এর এই আবেদন যাচাই করে দেখার জন্য।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, “ব্যাঙ্কিং পার্টনারদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। পেটিএম চাইছে বড় ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে।” সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির সঙ্গেও ইমেল মারফত যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও পেটিএমে-র থেকে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত কোনও উত্তর পায়নি সংবাদ সংস্থা। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের মুখপাত্র ও এনপিসিআই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বলেই উল্লেখ করছে সংবাদ সংস্থা।