নয়া দিল্লি : বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়াই ছিল প্রাথমিকভাবে সুইগি-র (Swiggy) কাজ। পরে ওই সংস্থা তাদের পরিষেবার ব্য়প্তি বাড়িয়েছে অনেকটাই। করো পরিস্থিতিতে যখন বাজার-হাট আচমকাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তখন রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে এই ধরনের সংস্থাগুলি। সেই সময় খাবার ছাড়াও একাধিক দ্রব্য বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সুইগি। এই অ্যাপের মাধ্যমে দেশের অনেক শহরেই এখন মুদিখানা দ্রব্য থেকে শুরু করে তেল, সাবান, শ্যাম্পুর মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না সংস্থা। তাই দেশের পাঁচ শহরে ‘সুপার ডেলি’ (Super Daily) পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে সুইগি। স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে চলেছে কর্মীদের ওপর।
শুধু সুপার ডেলিই নয়, সুইগি ‘জিনি’ নামে পরিষেবাও আপাতত বন্ধ রেখেছে অনেক শহরে। তবে ‘জিনি’ (জিনিসপত্র এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার পরিষেবা) একেবারে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি সংস্থা। জানানো হয়েছে, অন্যান্য ক্ষেত্রে চাহিদা এত বেড়েছে যে ডেলিভারি পার্টনারের সংখ্যা কম পড়ে যাচ্ছে। তাই বন্ধ রাখা হচ্ছে জিনি। তবে ‘সুপার ডেলি’-র ক্ষেত্রে বিষয়টা তেমন নয়। দিল্লি, মুম্বই, পুনে, হায়দরাবাদ ও চেন্নাই শহরে বন্ধ কর দেওয়া হয়েছে ‘সুপার ডেলি’।
দুধ কিংবা বিস্কুটের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হত এই ‘সুপার ডেলি’ পরিষেবার মাধ্যমে। আইআইটি বম্বের দুই প্রাক্তনী শ্রেয়স নাগড়াওয়ানে ও পুনীত কুমার ২০১৫ সালে নিজেদের উদ্যোগে ‘সুপার ডেলি’ পরিষেবা শুরু করেছিল। পরে সুইগি-কে ওই ব্য়বসা হস্তান্তর করা হয়। পরে এই পরিষেবার দায়িত্ব নেন সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফানি কিষান। ২০১৮-র মাঝামাঝি সুইগি এই পরিষেবা চালু করে তাদের ছত্রছায়ায়। সেই সময় মুম্বইতে দিনে ৬০০০ অর্ডার পেত ‘সুপার ডেলি’। আর গত চার বছরে সেটা বেড়ে হয়েছে দিনে ২ লক্ষ। কিন্তু তাতেও লাভ আসছে না।
ফানি কিষান কর্মীদের ইমেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত টাকা খরচ করে লাভ আনা সম্ভব হচ্ছে না। কর্মীদের ওপর প্রভাব পড়বে স্বাভাবিকভাবেই। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহ যাতে তাঁরা সময় পান তার জন্য অন্য পরিষেবার সঙ্গে তাঁদের যুক্ত করা হচ্ছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হচ্ছে।