সম্প্রতি টুইটার বিতর্কে চর্চার শীর্ষে রয়েছেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। শেষ পর্যন্ত টুইটার কেনা বাতিল হলেও সংবাদ শিরোনামে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন ধন কুবের ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবারই জানা গিয়েছে, টেসলা নিজের বিটকয়েনের সম্ভারের ৭৫ শতাংশই বিক্রি করে দিয়েছে। বিটকয়েন বিক্রি করে টেসলার ভাণ্ডারে এসেছে ৯৩৬ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রা ৭ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৪৪ টাকা)।
গত বছর টেসলা বিটকয়েনে ১.৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল। এবং তখনি সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, টেসলার গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে পেমেন্ট হিসেবে বিটকয়েনও নেওয়া হবে। কিন্তু বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেই বিটকয়েন বেচে দেওয়ার পথে হাঁটতে হল ইলন মাস্ককে। এর অন্যতম কারণ হল চিনের কঠোর কোভিড লকডাউন নীতি। টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল নগদ অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করা। চিনের কোভিড লকডাইনের কারণেই তা আরও বেশি করে দরকার পড়ে। তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই আমরা বিটকয়েনের ভাণ্ডার বাড়ানোর কথা ভাবব।’ প্রসঙ্গত, চিনে টেসলার একটি বড় অংশের উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু চিনের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে সেখানে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে টেসলা। চিনের শূণ্য কোভিড নীতি মেনে সেখানে বন্ধ হয়েছে টেসলার ফ্য়াক্টরির কর্মকাণ্ড। তাই সংস্থার জন্য উপলভ্য নগদ অর্থ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ইলন মাস্ক। তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের কোনও ডোজকয়েন বিক্রি করিনি।’
উল্লেখ্য, ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে ইলন মাস্ক খুব প্রভাবশালী একজন ব্যক্তিত্ব। অপ্রচলিত এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে ইলন মাস্ক প্রায়সই টুইট করে থাকেন। এবং তাঁর সেই টুইটের উপর ভিত্তি করেই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার ওঠা-নামা করে থাকে। এই আবহে দুই মাস আগে প্রচুর সংখ্যক বিটকয়েন সংগ্রহ করা শুরু করেছিল টেসলা। তবে বিগত দিনে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে। এদিকে টেসলার ভাণ্ডারেও নগদ অর্থের প্রবাহ কমেছে। এই পরিস্থিতিতে বিট কয়েন সংগ্রহের গতিতে ব্রেক কষেছে টেসলা।