নয়া দিল্লি: ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে আর্থিক সঞ্চয় থাকা অত্যন্ত জরুরি। তবে কোন খাতে বিনিয়োগ করবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকে কম বেশি সকলের মনে। শুধু আর্থিক সঞ্চয় করলেই তো হল না, সেই ফান্ড বৃদ্ধি করাও জরুরি। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের সবথেকে ভাল অপশন হল ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প। সরকারি এমন অনেক স্কিম রয়েছে, যেখানে বিনিয়োগ করে নিশ্চিত রিটার্ন পেতে পারেন। এমনই তিনটি বিনিয়োগ প্রকল্পের হদিস রইল, যেখানে বিনিয়োগ করলো, দ্বিগুণ রিটার্ন মিলতে পারে।
বর্তমানে কিষাণ বিকাশ পত্রে বছরে ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। এই স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করলে, আপনি কয়েক বছরেই জমা টাকা দ্বিগুণ রিটার্ন পেতে পারেন।কিষাণ বিকাশ পত্রে আরও একটি সুবিধা হল, এই প্রকল্পে বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা হল ১০০০ টাকা। লক্ষাধিক টাকা অবধি সর্বাধিক বিনিয়োগ করতে পারেন। এটি একটি একক বিনিয়োগ প্রকল্প। অর্থাৎ আপনি এই বিনিয়োগ প্রকল্পে একবারই বিনিয়োগ করতে পারেন। বারবার কিস্তিতে টাকা জমা করার দরকার নেই।
কীভাবে দ্বিগুণ হবে টাকা?
আপনি যত টাকা বিনিয়োগ করছেন, তা ১১৫ মাসে দ্বিগুণ হয়। ১১৫ মাসের মানে ৯ বছর ৭ মাস। আপনি যদি কিষাণ বিকাশ পত্রে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ৯ বছর পরে তার অঙ্ক বেড়ে ১০ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে।
সরকারি আরেকটি প্রকল্প হল, পাবলিক প্রফিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ। পিপিএফে সুদের হার ৭.১ শতাংশ।পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য পূরণের জন্য সঞ্চয় করতে সাহায্য করে। কর সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এই স্কিমটি উপকারী। ৭.১ শতাংশ সুদের হারে আপনার জমা রাখা টাকা দ্বিগুণ হতে ১০ বছরেরও কম সময় লাগবে।
মহিলাদের জন্য সঞ্চয় প্রকল্প হল সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা। এই যোজনায় ৮.২ শতাংশ সুদের হার পাওয়া যায়। একই সময়ে, পোস্ট অফিসে তিন বছরের স্থায়ী আমানতের সুদ হবে ৭.১ শতাংশ। সরকারের একটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প হল সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা। কন্যাদের ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা এবং বিবাহের ব্যয় বহনে সহায়তার লক্ষ্যেই সুকন্যা যোজনা এনেছে সরকার। এই প্রকল্পেটি ১০ বছরের কম বয়সী মেয়েদের জন্য। এই প্রকল্পের অধীনে, আপনি বার্ষিক সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা জমা করতে পারেন।