Online Fraud: ফোনে কি এই দুটি অ্যাপ আছে? তাহলে সর্বনাশ, যেকোনও মুহূর্তেই খোয়াতে পারেন সমস্ত টাকা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 12, 2022 | 1:30 AM

Online Fraud: রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত ভারত, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া সহ একাধিক দেশে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্যই এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।

Online Fraud: ফোনে কি এই দুটি অ্যাপ আছে? তাহলে সর্বনাশ, যেকোনও মুহূর্তেই খোয়াতে পারেন সমস্ত টাকা!
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: ফোনের মেমরি বারবার ভর্তি হয়ে গিয়েছে বলে নোটিফিকেশন আসে? গুগল প্লে স্টোর থেকে মেমরি সাফ করার জন্য় ডাউনলোড করছেন বিভিন্ন মেমরি ক্লিনার অ্যাপ? তবে নিজেই কিন্তু বিপদ ডেকে আনছেন। না বুঝেই প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করা অ্যাপ সরাসরি আপনার ফোনের ব্য়াঙ্কিং অ্যাকাউন্টে ট্রোজান হামলা হতে পারে। সম্প্রতিই প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এই তথ্যই জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, প্লেস্টোরে এমন দুটি অ্যাপ রয়েছে, যার মধ্যে শার্কবট ব্যাঙ্কিং ট্রোজান রয়েছে।

জানা গিয়েছে, যে দুটি অ্যাপ্লিকেশনে ট্রোজান ভাইরাস রয়েছে, সেটি হল মিস্টার ফোন ক্লিনার ও কাইলহাভি মোবাইল সিকিওরিটি। মিস্টার ক্লিনার অ্যাপটি এখনও অবধি ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ডাউনলোড করেছেন এবং কাইলহাভি অ্যাপটি ১০ হাজারেরও বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের ফোনে এই ট্রোজান ভাইরাস ঢুকে গিয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত ভারত, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া সহ একাধিক দেশে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্যই এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যারাই ফোনের মেমরি ফাঁকা করার জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করেছেন, তাদের ফোনে এই ট্রোজান ভাইরাস ঢুকে গিয়েছে।

এই ভাইরাসযুক্ত অ্যাপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এই শার্কবট ম্যালওয়ার অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর এটি আপনার ফোন থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য় কোনও প্রকার অনুমতির অপেক্ষা করে না। বিনা অনুমতিতেই তারা যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নেয়। আপনার ফোনে এই অ্যাপ থাকলেই, আপনি যখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলবেন, তখনই তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে যাবতীয় কুকি সংগ্রহ করে নেয়, যার মধ্যে অ্য়াকাউন্টের নম্বর থেকে শুরু করে পিন, যাবতীয় তথ্যই সংরক্ষিত থাকে। এই অ্যাপ থেকে আপনাআপনিই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। গ্রাহকরা টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়ে কোনও কিছু জানতেও পারতেন না।

Next Article