যত দিন যাচ্ছে বদলে যাচ্ছে চাকরির সংজ্ঞা। কর্মী নির্ভরতার সঙ্গেই বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ। সেই সঙ্গেই বদলে যাচ্ছে কর্মসংস্থানের জায়গাও। আগে যেখানে চাকরি খুঁজতে অফিসের দুয়ারে দুয়ারে সিভি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াতো চাকরিপ্রার্থীরা, সেখানেই আজ সবটাই হয়ে যায় অনলাইনে। এমনকি বহু সংস্থার ইন্টারভিউ হয় অনলাইনে। তেমনই বদল আসছে কর্মক্ষেত্রেও।
আগে গ্রাম, মফঃস্বল থেকে মানুষ ছুটে আসত কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, দিল্লির মতো বড় বড় শহরে, চাকরির খোঁজে। কিন্তু এখন সেই ধারণাতেই আসছে বদলে। আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে ভারতের অফিসের মানচিত্রটাই। চাকরির ‘হাব’ হয়ে উঠছে জয়পুর, কোয়েম্বাটুরের মতো টায়ার-২ শহরগুলিও।
ভারতের নামকরা এইচআর সার্ভিস এবং রিক্রুমেন্ট সংস্থা টিমলিজ-এর প্রকাশ করা একটি রিপোর্ট বলছে নতুন প্রতিভা, কম পরিচালন খরচ এবং বিপুল অব্যবহৃত সম্ভাবনার কারণেই এই ছোট ছোট শহরগুলিই এখন হয়ে উঠছে নানা ছোট বড় ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু। লজিস্টিক, বৈদ্যুতিন গাড়ি, চাষবাসের মতো সেক্টরে বিপুল বিকাশ হচ্ছে। উন্নত পরিকাঠামো এবং ব্যাপক কর্ম ক্ষমতা এই বিকাশের অন্যতম কারণ।
টিমলিজের রিপোর্ট অনুসারে নতুন চাকরি তৈরি হওয়ার যে পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, তা চমকে দেওয়ার মতো। ‘মেট্রো সিটি’ যেমন বেঙ্গালুরুতে ৫৩.১%, মুম্বই ৫০.২%, হায়দ্রাবাদ ৪৮.২%।
আবার টায়ার-২ শহরগুলিতেও নতুন চাকরি তৈরি হওয়ার পরিসংখ্যান বেশ উল্লেখযোগ্য। কোয়েম্বাটোর ২৪.৬%, গুরুগ্রাম ২২.৬%, জয়পুর ২০.৩%, লখনউ ১৮.৫%, নাগপুর ১৬.৭%। এই পরিসংখ্যান বাস্তবে চাকরির বদলে যাওয়া মান চিত্রের প্রমাণ। যা একই সঙ্গে সারা দেশ জুড়ে শিল্প এবং অর্থনৈতিক বিকাশের সম্ভাবনাকেও বৃদ্ধি করছে।