কলকাতা: আজ গণেশ চতুর্থী। এই উপলক্ষে আজ কমোডিটি বাজার বন্ধ থাকবে। তবে বিকেল পাঁচটার পর কেনাবেচার জন্য ফের খুলবে বাজার। MCX এ এই সপ্তাহে নিয়মিত সোনার দাম কমতে দেখা গেছে। এই সপ্তাহের শুরুতে সোমবার যেখানে সোনার দাম শুরু হয়েছিল প্রতি দশ গ্রাম ৪৭৫৮৪ টাকা, সেখানে সপ্তাহের শেষদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বার সোনার দাম নেমেছিল ৪৫,৯৫২ টাকায়। অন্যদিকে সোনার দাম কমার পাশাপাশি নামতে দেখা গেছে রুপোর দামও। বৃহস্পতিবার রুপোর দাম ৮৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি ৬২,৭১৫ টাকায় নেমেছিল। গতকাল সোনার দাম চলতি মাসের সর্বনিম্ন ছিল।
এদিকে সোনার দাম কমায় বিক্রি বাড়ার ব্যাপারে আশাবাদী কলকাতার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তারা আশা করছেন আজ গণেশ পুজো উপলক্ষে সোনার বিক্রি বাড়বে। সামনেই পুজোর মরশুম। আজ গণেশ পুজো। গণেশ পুজো থেকে বিশ্বকর্মা পর্যন্ত সময়কে সোনা কেনাবেচার শুভ সময় মনে করেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। একদিকে সোনার দামের মূল্যহ্রাস অন্যদিকে শুভ সময়, ফলে কলকাতার বউবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা আশা করছেন বাড়তে পারে সোনার গয়না বিক্রির হার।
এই ব্যাপারে কলকাতার স্বর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তা সমর দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “, গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকায় গণেশ পুজোর চল বেড়েছে। মহারাষ্ট্রেও গণেশ সুজোয় সোনা বিক্রি বাড়ে।” ব্যবসায়ী মহলের ধারণা বিশ্বের বাজারে আগামী দিনে বিশ্বের বাজারে আরও কিছুটা কমবে সোনার দাম। ফলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা মনে করছেন বাজার সম্পর্কে সচেতন ক্রেতারা সোনার দাম কমার ফায়দা তুলতে সোনায় টাকা লগ্নি করতে পারেন।
অন্যদিকে আজ মধ্যরপ্রদেশের সোনারুপোর বাজারেও সোনার দাম কিনতে দেখা গেছে। ভোপালে কালকের তুলনায় আজ ২৪ ক্যারেট সোনারদাম ৫০ টাকা কম হয়েছে। অন্যদিকে ২২ ক্যারেট সোনা প্রতি দশ গ্রাম ৪৫,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাল পর্যন্ত ভোপালে ২৪ ক্যারেট সোনা প্রতি দশ গ্রাম ৪৭,৫৪০ টাকা ছিল। ইন্দোর, গোয়ালিয়র জব্বলপুরে আজ সোনার দাম প্রতি দশ গ্রাম ৪৫,১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিন শহরেই সোনার দাম কম হয়েছে।
বিহারেও আজ কমেছে সোনার দাম। বিহারের রাজধানী পাটনায় আজ দশ গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৪৫,২৯০ টাকা। গতকাল এই দাম ছিল ৪৫,৪০০ টাকা। গতকালের দামের তুলনায় আজ বিহারে সোনার দাম ১১০ টাকা কমেছে।
২২ ক্যারেট আর ২৪ ক্যারেট সোনার পার্থক্য কী জেনে নিন
সোনা কত ক্যারেটের তার উপর নির্ভর করে সোনা কতটা শুদ্ধ। ২৪ ক্যারেট সোনা ৯৯.৯ শতাংশ শুদ্ধ হয়। অন্যদিকে ২২ ক্যারেট সোনা প্রায় ৯১ শতাংশ শুদ্ধ হয়। ২২ ক্যারেট সোনায় অন্যান্য ধাতু যেমন তামা, রুপো, দস্তা মিলিয়ে গয়না তৈরি করা হয়। আর ২৪ ক্যারেট সোনা সবচেয়ে শুদ্ধ, কিন্তু এই সোনায় গয়না তৈরি হয়না। তাই বেশিরভাগ স্বর্ণকাররা ২২ ক্যারেট সোনা বিক্রি করেন।