ওয়াশিংটন: বড় বিপদের মুখে টুইটার কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সংস্থার নতুন মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করার পর থেকেই চিন্তা-আতঙ্কে ঘুম উড়েছে টুইটার কর্মীদের। কারণ তাদের মনে ভয়, যে কোনও মুহূর্তেই চাকরি খোয়াতে পারেন তারা। বৃহস্পতিবারই ইলন মাস্ক বলেন, “টুইটারকে আর্থিকভাবে সুস্থ-সবল হয়ে উঠতে হবে এবং খরচও কমাতে হবে”। টেসলা কর্তার এই ঘোষণার পরই টুইটার সংস্থার কর্মচারীরা আতঙ্কে রয়েছেন, যেকোনও সময়েই চাকরি হারাতে পারেন তারা। তবে এখনই সেই ছাঁটাই হবে না। কারণ টুইটারের হস্তান্তরের চুক্তি আপাতত স্থগিত করে রেখেছেন ইলন মাস্ক।
বৃহস্পতিবার টুইটার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইলন মাস্ক বলেন, “বর্তমানে আমাদের আয়ের তুলনায় খরচ অনেক বেশি। এটা মোটেও ভাল নয়”। সরাসরি কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা না বললেও কর্মীরা যখন তাঁকে প্রশ্ন করেন যে, “এটা নির্ভর করছে। সংস্থার অবস্থা কেমন, তার উপরেই কর্মীদের ভাগ্য নির্ভর করছে। তবে এইটুকুই বলতে পারি যে সংস্থাকে সুস্থ হয়ে উঠতেই হবে।”
সংস্থার অভ্যন্তরীণ বৈঠকেও ইলন মাস্ক নাকি বলেছেন যে কর্মীসংখ্যায় ভারসাম্য আনা প্রয়োজন, নাহলে ভবিষ্যতে সংস্থার উন্নয়ন ও বৃদ্ধি অসম্ভব। যারা সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন,তাদের চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। তিনি ওয়ার্ক ফ্রম হোম, সংস্থার হস্তান্তরের চুক্তি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
৪৪০০ কোটি ডলার দিয়ে টুইটার সংস্থা কিনে নেওয়ার পরই জল্পনা ছড়িয়েছিল যে, বিনিয়োগ করার অর্থ আদায় করতে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারেন। তালিকায় সবার প্রথমেই টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালের নাম রয়েছে। পরাগ আগরওয়াল নিজের কেরিয়ার বা ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও কথা না বললেও, মালিকানা হস্তান্তরের পর কর্মীদের ছাঁটাইয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই।
উল্লেখ্য, আপাতত টুইটারের চুক্তি স্থগিত রেখেছেন ইলন মাস্ক। অন্যদিকে, সম্প্রতিই টুইটার সংস্থার তরফে জানানো হয় যে এইচএসআর আইন অনুযায়ী, ৪৪০০ কোটি ডলারের চুক্তির ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার চুক্তি পাকাপাকি সম্পন্ন
করতেই হবে ইলন মাস্ককে। নাহলে চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হবে।