নয়া দিল্লি: আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছে ভারত। আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে সরকারি পরিষেবাতে। বাকি সরকারি পরিষেবার মতো বদলে যাচ্ছে ভারতীয় রেলওয়েতেও (Indian Railway)। রেল পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে টিকিট কাটার ব্য়বস্থাতেও পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানান, ব্যাপকভাবে বাড়ানো হচ্ছে ট্রেনের টিকিট কাটার ব্যবস্থা (Train Ticketing System)। আগে যেখানে ভারতীয় রেলওয়ে প্রতি মিনিটে ২৫ হাজার টিকিট ইস্যু করত, সেখানেই এবার থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টিকিট ইস্যু করা হবে প্রতি মিনিটে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এই নতুন পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব জানান, শুধু টিকিট কাটার ক্ষমতা বা ক্যাপাসিটিই বাড়ানো হবে না, পাশাপাশি রেল এনকোয়ারি বা যাত্রীদের রেল সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সংখ্য়া বাড়ানো হবে। বর্তমানে যেখানে প্রতি মিনিটে ৪ লক্ষ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়, সেখানেই সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রতি মিনিটে ৪০ লক্ষ যাত্রীদের যাবতীয় জিজ্ঞাসা মেটানো হবে।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “পরবর্তী প্রজন্মের ই-টিকিটিং প্য়াসেঞ্জার রিজারভেশন সিস্টেমের পরিকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। বর্তমানে রেলওয়ের প্রতি মিনিটে ২৫ হাজার টিকিট কাটার ক্ষমতা রয়েছে, আমাদের লক্ষ্য় হল প্রতি মিনিটে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টিকিট কাটতে সমর্থ হওয়া। একইভাবে যাত্রীদের জিজ্ঞাসা মেটানোর ক্ষমতাও প্রতি মিনিটে ৪ লক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ করার লক্ষ্য় রয়েছে।”
রেলমন্ত্রী আরও জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে নতুন করে ৭ হাজার কিলোমিটার রেলওয়ে ট্রাক বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এতে যাত্রী পরিষেবাও যেমন উন্নত হবে, তেমনই রেলের যাত্রার সময়ও কমবে। তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে এখনও অবধি ভারতীয় রেলওয়ে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও সুবিধার জন্য ১০ হাজার ৪৩৮টি ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস তৈরি করেছে। আগামিদিনে এই সংখ্যাটি আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধার জন্য দেশজুড়ে ২ হাজার রেলওয়ে স্টেশনে জন সুবিধা কনভিনিয়েন্স স্টোর তৈরি করা হবে, যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যাবে এই দোকানে। এতে বাড়ি যাওয়ার পথে যাত্রীদের দোকান বা বাজারে যেতে হবে না, স্টেশন থেকেই প্রয়োজনীয় মুদি সামগ্রী কিনে নিতে পারবেন। এখনও অবধি দেশের ৫৫০টি স্টেশনে ৫৯৪টি আউটলেট খোলা হয়েছে ওয়ান স্টেশন, ওয়ান প্রোডাক্ট প্রকল্পের আওতায়।