ছোট্ট একটা বাড়ির আশা থাকে প্রত্যেকেরই। গৃহঋণ না নিলে মধ্যবিত্তের কাছে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত। কিন্তু সেই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আর ঝুঁকিও। আগে থেকে সতর্ক থাকলে তার থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়।
১. যদি ফ্লোটিং রেট লোন নেন, তাহলে সুদের হার বাড়ত পারে যে কোনও সময়। ঝুঁকি কমানোর জন্য ফিক্সড রেটের লোন নেওয়া উচিত। মনে রাখা দরকার, গত অর্থবর্ষে পরপর ৬ বার সুদের হার বেড়েছে।
২. গৃহ ঋণ নেওয়া মানে দীর্ঘ সময় ধরে সেই টাকা মেটাতে হবে। তাই ঋণ নেওয়ার আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরি যে সেই টাকা আপনার মাসের বাজেটের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে। ইএমআই দিতে কোনও অসুবিধা যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভবিষ্যতে অন্য কোনও খরচের পরিকল্পনা করার আগে এই ইএমআই-এর হিসেব কষে রাখতে হবে।
৩. হোম লোনের ক্ষেত্রে অনেক নথি সংক্রান্ত জটিলতা আছে। আইনি জটিলতাও আছে। সেগুলো সব দক্ষ হাতে সামলাতে হবে। সব শর্ত বুঝে নিতে হবে সই করার আগে। ভবিষ্যতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪. ইএমআই ঠিক সময়ে দিতে না পারলে পড়ে যেতে পারে আপনার ক্রেডিট স্কোর। তাই লোন শোধ করার সময় এটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। নাহলে পরবর্তীকে কোনও ঋণ নিতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে।