Mamata Banerjee: BGBS-এর মঞ্চেও মমতার গলায় রেশনের কথা, বকেয়া ইস্যুতেও বিঁধলেন কেন্দ্রকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 21, 2023 | 10:15 PM

Mamata Banerjee in BGBS: দেশ বিদেশে আমন্ত্রিত অতিথি ও শিল্পপতিদের বাংলার সামাজিক সুরক্ষার কথা বোঝাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়েই মমতা বলেন, "আমরা বিনামূল্যে রেশন দিই। ৯০ শতাংশ মানুষ বিনামূল্যে খাবার পান। বাজার থেকে চাল কিনতে হয় না। এটা সরকার তাঁদের দেয়। আমি পশ্চিমবঙ্গে সুস্থ-সবল মানুষ দেখতে চাই।"

Mamata Banerjee: BGBS-এর মঞ্চেও মমতার গলায় রেশনের কথা, বকেয়া ইস্যুতেও বিঁধলেন কেন্দ্রকে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে রেশনের প্রসঙ্গ। দেশ বিদেশে আমন্ত্রিত অতিথি ও শিল্পপতিদের বাংলার সামাজিক সুরক্ষার কথা বোঝাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়েই মমতা বলেন, “আমরা বিনামূল্যে রেশন দিই। ৯০ শতাংশ মানুষ বিনামূল্যে খাবার পান। বাজার থেকে চাল কিনতে হয় না। এটা সরকার তাঁদের দেয়। আমি পশ্চিমবঙ্গে সুস্থ-সবল মানুষ দেখতে চাই।” শুধু রেশন ব্যবস্থাতেই নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী… সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা উঠে আসে মমতার গলায়। মহিলাদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির জন্য প্রতি মাসে ‘পকেটমানির’ মতো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয় বলেও আমন্ত্রিত অতিথিদের জানালেন মমতা।

একইসঙ্গে কেন্দ্রকে বিঁধতেও ছাড়লেন না। জিএসটি বাবদ বকেয়া টাকার অভিযোগ থেকে শুরু করে একশো দিনের কাজের টাকায় বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ… সবই উঠে এল মমতার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের বক্তব্যে। বললেন, “আপনারা দেখুন ঠিকঠাক আর্থিক সাহায্য না পেয়েও আমরা কীভাবে উন্নয়ন করছি। এখন দেশে একটিই মাত্র কর রয়েছে, জিএসটি। রাজ্য কোনও কর নিতে পারে না। এই কর কেন্দ্রীয় সরকার নেয় এবং তারপর রাজ্যকে তাদের ভাগ দেয়। কিন্তু আমি দুঃখিত, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমরা আমাদের ভাগের টাকা পাচ্ছি না। এমনকী একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের টাকাও দেওয়া হচ্ছে না।”

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর পাল্টা দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে খোঁচা দিয়ে শমীক এটিকে ‘হতাশাব্যাঞ্জক পরিস্থিতি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বললেন, “আমরা যা দেখছি, এটা হতাশাব্যঞ্জক পরিস্থিতি। শিল্পপতিরা বাইরে থেকে এসেছেন। এখানে রাজনীতির কথা না বলে, রাজ্যের পরিকাঠামো কী আছে, ল্যান্ড ব্যাঙ্কে কী জমি আছে, সেটা এগিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁর জীবনী বললেন, রাজনীতির কথা বললেন, একশো দিনের কাজের কথা বললেন। এগুলো তো শিল্প সম্মেলনের কাজ নয়। এর জন্য তো অন্য জায়গা আছে।”

Next Article