নয়া দিল্লি: বাজেট মানেই একগুচ্ছ প্রত্যাশা। যদিও এবার অন্তর্বর্তী বাজেট, তবুও ভোটের মুখে বেশ কিছু বড় ঘোষণা হতে পারে বলে আশা করছেন সাধারণ মানুষ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা, কোন খাতে কী বরাদ্দ হতে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে কৃষকদের জন্য যে সুখবর আসবেই, তেমনটাই অনুমান করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। কৃষকদের জন্য কী উপহার থাকতে পারে, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। তবে তার আগে জেনে নেওয়া দরকার, কী প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা?
পেশায় কৃষক করুণাশঙ্কর গমের চাষ করেন তাঁর জমিতে। সেই গম বিক্রি করেই পরিবারের পেট চলে। তাই কৃষি ক্ষেত্রে মোদী সরকার এবার কী উদ্যোগ নেবে, তা নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে তাঁর। গত এক বছরে গমের দাম বাজারে বেশি ছিল ঠিকই, তবে তাতে তাঁর কোনও লাভ হয়নি বলেই জানাচ্ছেন করুণাশঙ্কর। তিনি জানাচ্ছেন, বৃষ্টি হলে তবেই লাভের মুখ দেখতে পান তিনি। একদিকে দামি সার, ওষুধ, জল আর বিদ্যুতেই খরচ হয়ে যায় অনেক টাকা। আর তার পর বৃষ্টির মুখ চেয়ে বসে থাকতে হয়।
তবে একটাই স্বস্তি করুণাশঙ্করদের। বিনামূল্যে শস্যবিমা করিয়ে দিচ্ছে সরকার, তাই লোকসানের ভয় কিছুটা হলেও কম। তবে এবার বাজেটে আরও কোনও নতুন ঘোষণা হবে বলে আশা করছেন করুণাশঙ্কর। তাঁর প্রত্যাশা লোকসভা নির্বচনকে সামনে রেখে বাজেট হবে এবার জনমোহিনী। এর আগে নির্বাচনের বছরে অর্থাৎ ২০১৯ সালে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি নগদ ৬০০০ টাকা পাঠানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেটা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছিল কৃষকদের।
তবে করুণাশঙ্কর মূলত দুটি বিষয় নিয়ে প্রত্যাশা রেখেছেন এবার। তিনি চাইছেন, সরকারের দেওয়া ওই টাকার অঙ্ক বাড়ানো হোক। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজেও বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলছেন করুণাশঙ্কর। কারণ ১০০ দিনের কাজে টাকা বাড়ানো হলে কাজ পাবেন তাঁর পুত্র ও পুত্রবধূ। আয়ের গ্যারান্টি থাকবে, এমন কোনও পদক্ষেপ করা হোক, সরকারের কাছ থেকে এমনই প্রত্যাশা করুণাশঙ্করের। পাশাপাশি, তাঁর মতো অন্যান্য কৃষক, যাঁদের ছোট জমি আছে, তাঁরা চাইছেন, সরকার কোনও কৃষি কর আরোপ করবেন না।