শিয়রেই কেন্দ্রীয় বাজেট। ১ ফেব্রুয়ারি পুরনো সংসদ ভবন থেকে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বাজেটে নির্মলার থেকে একগুচ্ছ ঘোষণার আশায় দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি। এদিকে বাজেটের আগেই নির্মলা সীতারমনকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি নিজেও মধ্যবিত্তর শ্রেণির। তাই মধ্যবিত্তের জ্বালা তিনি বোঝেন। কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে তাঁর এই মন্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করেছিল বিশেষজ্ঞ মহল।
মধ্যবিত্ত শ্রেণি আশা করছে ৮০ সি, ৮০ ডি ও ৮৭ এ ধারার অধীনে কর ছাড় বৃদ্ধি করবে। ক্লিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অর্চিত গুপ্ত বলেছেন, “আমরা মনে করছি ২০২৩ সালের এই বাজেটে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের হাতে বেশি টাকা থাকার সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। তাঁরা সেই টাকা নিজেদের চাহিদা মতো প্রয়োজনীয় জিনিস সামগ্রীতে ব্যয় করতে পারবে।” নির্মলার বাজেট থেকে মধ্যবিত্তরা কী কী আশা রাখতে পারেন?
করছাড়ের সীমা বাড়ানো:
খরচ বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্পের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সরকার কর ছাড়ের সীমা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উন্নীত করার কথা বিবেচনা করছে। তবে এটি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জনকারীদের প্রভাবিত নাও করতে পারে কারণ তাঁরা সবসময় ৮৭ এ ধারার অধীনে এই ছাড় উপভোগ করে থাকেন। তবে অবশ্যই এর ফলে তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ট্যাক্স রিটার্ন জমা করতে হবে না।
ধারা ৮০ সি-র সীমা বৃদ্ধি:
৮০ সি ধারার অধীন কোনও বিনিয়োগের করছাড়ের বর্তমান সীমা ১.৫ লক্ষ টাকা। গত কয়েক দশক ধরে এই সীমায় কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। বৃহত্তর কর সঞ্চয় এবং বর্ধিত বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়ার জন্য এই করছাড়ের সীমা বাড়ানো উচিত।
৮০ডি-র সীমার পুনর্বিবেচনা:
ভারতের মধ্যবিত্তরা বর্তমানে নিজেদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর উপায় খুঁজছে। তাঁরা এখন সাশ্রয়ী মূল্য়ে বাড়ি ও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার আশা করছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা বিমার খরচ বেড়েছে। তাই মধ্যবিত্তের উপর আর্থিক বোঝা আরও কিছুটা মেটানোর জন্য এখানে কর ছাড়ের সীমা বাড়ানো উচিত। তাই ডাক্তারের ফি ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার খরচের মতো স্বাস্থ্য পরিষেবার খরচ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিভাগ ৮০ডি-র পরিধি বাড়ানো উচিত।
বাড়ির ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি:
করদাতাদের ক্ষেত্রে বাড়ি কেনা এখনও বিলাসিতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই বোঝা কমানোর জন্য করদাতারা আশা করছেন গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে সুদের ছাড় আশা করছেন। এছাড়াও বাড়ি ক্রেতারা ৮০ইইএ ধারার অধীনে গৃহঋণে সুদের উপর দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা নিতে পারেন। তবে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনুমোদিত গৃহঋণের ক্ষেত্রেই একমাত্র এই সুবিধা প্রযোজ্য। ক্রেতাদের আরও বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে লক-ইন পিরিয়ড ও থ্রেশহোল্ড বাড়ানো যেতে পারে।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ান:
পাঁচ বছর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন চালু করা হয়েছিল। এখন চিকিৎসা ব্যয় এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকায় উন্নীত করার একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে।