কলকাতা: বাজারে রয়েছে একাধিক তাবড় তাবড় অটোমোবাইল সংস্থা। কিন্তু, প্রতিযোগিতার দৌড়ে সকলকেই পিছনে ফেলে ক্রমশ সামনের সারিতে উঠে আসছে টাটা মোটরস। অগস্টে বিক্রির খতিয়ান বলছিল টাটা মাহিন্দ্র, হুন্ডাইকে পিছনে ফেলে SUV বিক্রির নিরিখে প্রখম স্থান দখল করে নিয়েছিল Maruti Brezza. তবে সেপ্টেম্বরে জোর টক্কর দেয় টাটা। বাকিদের পিছনে ফেলে এক নম্বরে উঠে এসেছে Tata Nexon. তবে শুধু এসইউভি নয়। বাকি চারচাকার বাজারেও রয়েছে টাটারা দাপট? কিন্তু, বাজারজোড়া সাফল্যের পিছনে কী রহস্য?
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাফল্যের পিছনে যেমন একাধারে কাজ করছে টাটার ব্যবসায়িক কৌশল, তেমন কাজ করছে এদের গাড়ি প্রস্তুতের বিশেষ কৌশল। টাটার গাড়ি দেখতে কেমন হবে অর্থাৎ ডিজাইন কেমন হবে তা ঠিক করে Tata Elxsi. এটাও তাঁদের নিজস্ব সংস্থা। তালিকায় রয়েছে আরও চার সংস্থা। Tata Steel, TCS, Tata Chemicals, Tata Power.
টাটার গাড়ির বডি, বাহ্যিক কাঠামো তৈরি করে টাটা স্টিল। অন্যদিকে নতুন উদ্ভাবনা, নিত্যনতুন প্রযুক্তির বাস্তবায়ন, প্রযুক্তির বিষয়গুলি দেখে টিসিএস। অন্যদিকে ব্যাটারি চালিত ইলেট্রিক গাড়িগুলির ব্যাটারির সেলও নিজেই তৈরি করে টাটা। দায়িত্ব Tata Chemicals এর হাতে। অন্যদিকে সেই গাড়ি নিয়ে আপনি যদি চার্জ দিতে যান তাও আপনার ভরসা টাটাই। EV চার্জিং স্টেশনের দায়িত্ব রয়েছে Tata Power এর হাতে। করোনাকাল হোক বা বর্তমান সময়, টাটা মোটোরসের শেয়ারে সর্বদাই ঊর্ধ্বগতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে এই সংস্থার শেয়ারের দাম ছিল ১৭৪ টাকার আশেপাশে। ২৯২৩ সালের অক্টোবরে সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৬৬৭ টাকার ঘরে।