নয়া দিল্লি: ভবিষ্যৎ জীবন সুরক্ষিত রাখতে অর্থ সঞ্চয় করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হঠাৎ টাকার প্রয়োজন হোক বা আপনার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টাকা সঞ্চয় করে রাখা, যেকোনও প্রয়োজনেই এই সঞ্চয় কাজে লাগতে পারে। টাকা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে অনেকে যেমন বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন, তেমনই অনেকে আবার ভরসা রাখেন জীবনবিমায়। যেকোনও আর্থিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল জীবনবিমা। আপনার যত বয়স হবে, ততই জীবনবিমার গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।
বিনিয়োগ হিসাবে আদর্শ প্রকল্প হল জীবনবিমা। এতে একদিকে যেমন আপনার অবর্তমানে প্রিয়জনের ভবিষ্যৎ আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকে, তেমনই আপনার আর্থিক লক্ষ্যপূরণেও সাহায্য করে এই বিমা।
প্রত্য়েক মাসে ন্যূনতম অর্থ জমা রেখেই জীবনবিমায় বিনিয়োগ করা যায়। প্রকল্প চলাকালীনই যদি আপনার দুর্ঘটনা বা আকস্মিক প্রয়াণ হয়, তবে সেক্ষেত্রে নমিনি হিসাবে আপনার পরিবার আর্থিক সুরক্ষা পাবে। এছাড়া বিমায় যদি অতিরিক্ত কোনও সুবিধার কথা উল্লেখ করা থাকে, তবে সেই সুবিধাও পাবেন আপনার পরিবারের সদস্যরা।
যদি আপনি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করেন এবং অনেক আগে থেকেই সঞ্চয় শুরু করেন, তবে আপনার একাধিক লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য হবে।
বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ের সুবিধাও পাবেন জীবনবিমায়। ইউএলআইপি বা এনডোমেন্ট প্ল্য়ানের ক্ষেত্রে আপনি অবসরের পর আর্থিক সুবিধা পাবেন। এছাড়া বিমার মেয়াদ থাকাকালীন নানা আর্থিক ছাড়, বোনাস সহ একাধিক সুবিধাও পাবেন।
ঋণ মেটাতেও সাহায্য করে জীবনবিমা। আপনি জীবনবিমাপ সাপেক্ষে ঋণ পরিশোধের সুবিধা পান।
কর বাঁচাতে সুবিধা- জীবনবিমা করা থাকলে আপনি আয়করেও ছাড় পান। আয়কর আইন ১৯৬১ অধীনে আপনি যদি সঠিক সময়ে বিমার প্রিমিয়াম দেন, তবে আপনি ৮০সি অনুচ্ছেদের অধীনে করে ছাড় পাবেন। এছাড়া ১০ডি অনুচ্ছেদের অধীনে জীবনবিমাকে করমুক্ত হিসাবে গণ্য করা হয়।