নয়া দিল্লি: বর্তমান সময়ে বদলে গিয়েছে আর্থিক লেনদেনের পদ্ধতি। নগদ অর্থের বদলে অনেকেই ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতে পছন্দ করেন। এতে নগদ সঙ্গে রাখার কোনও ঝামেলা যেমন থাকে না, তেমনই আবার লেনদেনের ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হয় না। তবে এখনও বেশ কিছু ক্ষেত্রে নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়। মাসের শেষে বা হঠাৎ যদি আপনারও এমন নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়, তবে সেক্ষেত্রে টাকা জোগাড় করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অনেকেই “ইউজ নাও, পে লেটার” বা এটিএম থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলেন।
এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে ডেবিট কার্ড ব্য়বহার করা হলেও, অনেক সময়ই নগদ অর্থ না থাকায়, এটিএম থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলেন। এই অভ্যাস কিন্তু একদমই ঠিক নয়। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অ্যাডভান্স ক্যাশ বা নগদ তোলার জন্য অতিরিক্ত কিছু চার্জ লাগে। এটিএম থেকে নগদ তোলার ক্ষেত্রে সুদের হারও অনেকটা বেশি হয়।
আপনিও যদি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে টাকা তোলেন, তবে এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন-
১. ক্যাশ অ্যাডভান্স ফি- যখন আপনি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এটিএম থেকে টাকা তোলেন, তখন একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক কেটে নেওয়া হয় প্রসেসিং ফি হিসাবে। এই অঙ্কটা যত টাকা তোলা হচ্ছে, তার ২ থেকে ৩ শতাংশ হয়। পরের মাসে ক্রেডিট কার্ডের বিলে এই অঙ্ক যোগ হয়ে যায়।
২. সুদের হার– ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের সুদের হারও বসানো হয়। এই সুদের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি হয়। সাধারণত ৩.৫ শতাংশ সুদ নেওয়া হয়।
৩. ক্রেডিট স্কোর- যদি আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলেন, তবে ক্রেডিট স্কোরে সরাসরি প্রভাব না পড়লেও, সুদের হার ও প্রসেসিং ফি এতটাই বেশি নেওয়া হয় যে সঠিক সময়ে টাকা পরিশোধ করা যায় না। আর সেই প্রভাবই পড়ে ক্রেডিট স্কোরে।
৪. এটিএম মেনটেনেন্স ফি- অধিকাংশ ব্যাঙ্কই ৫বার এটিএম লেনদেনের জন্য কোনও ফি না লাগলেও, তারপর থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হয়।