কলকাতা: প্রতি বছরের মতো এবারও আর্থিক বছর শেষ হচ্ছে ৩১ মার্চ। যাঁরা আয়করের আওতায় আসেন এই সময়ের মধ্যে তাঁদের মিটিয়ে ফেলতে হয় বকেয়া কর। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে যায় নতুন আর্থিক বছর। নতুন খাতা খোলা হয় ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান। নতুন আর্থিক বছরে নতুন আয়-ব্যয়ের হিসাব করা হয় সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে। শুধুমাত্র সাম্প্রতিক সময় থেকে এটা হয়ে আসছে এমনটা নয়, মার্চে শেষ, এপ্রিল শুরু নতুন আর্থিক বছর, এই নিয়ম চলে আসছে একেবারে ব্রিটিশ আমল থেকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুধু ট্যাক্স স্ল্যাব পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু, কেন মার্চ-এপ্রিলের সার্কেলে এই আর্থিক বছরের হিসাব করা হয় জানেন?
১ এপ্রিল থেকে নতুন আর্থিক বছর শুরু করার নিয়ম ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। তাঁদের দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতেও এই হিসাবে সমস্ত হিসাব-নিকেশ করা তাঁদের জন্য সুবিধাজনক ছিল। দেশ স্বাধীন হলেও তাতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এমনকি সংবিধানেও আর্থিক বছরের সময় শুধু মার্চ-এপ্রিল হিসেবে রাখা হয়েছে।
ভারত মূলত কৃষিপ্রধান দেশ। তাই ফসল রোপণ ও তোলার কথা মাথায় রেখেও আর্থিক বছরের এই হিসাব করা হয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই সময়ে একটি নতুন ফসল রোপণ করা হয়। কৃষকরা পুরানো ফসল ঘরে তোলেন, বাজারে বিক্রিবাটা শুরু হয়। হাতে আসে টাকা। অনেকের মনে প্রশ্ন আসে ডিসেম্বর মাসে কেন আর্থিক বছর শেষ হয় না? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ডিসেম্বরে থাকে নানাবিধ উৎসব। শুরু হয়েছে বর্ষবরণের প্রস্তুতিও। সে কারণেই ওই সময়কে এড়িয়ে যাওয়া হয়। অনেকে আবার বলেন, এপ্রিল ভারতে নববর্ষের সূচনা হয়। তবে আসলে ঠিক কী কারণে অর্থবছরের মাস মার্চ-এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে সংবিধানে কোনও বিশদ তথ্য নেই।